চিত্রসেন
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনীতে এই নামে একাধিক চরিত্র আছে।
১. কর্ণের ঔরসে পদ্মাবতীর গর্ভে এর জন্ম হয়। এর অপর দুই ভাইয়ের নাম বৃষকেতু ও বৃষসেন।
২. জনৈক গন্ধর্ব। ইনি লঙ্কার রাজা রাবণের কন্যাকে হরণ করে বিবাহ করেন।
৩. গন্ধর্বরাজ বিশ্বাবসুরের পুত্র। ইনি ইন্দ্রের সভায় সঙ্গীত ও নৃত্যশিল্পী ছিলেন। এছাড়া ইনি স্বর্গের অপ্সরাদের সঙ্গীত ও নৃত্যগুরু ছিলেন। বনবাসকালে অস্ত্র সংগ্রহের কারণে অর্জুন ইন্দ্রলোকে গেলে, ইনি অর্জুনকে নৃত্যগীতবাদ্য শিক্ষা দেন। ইনি উবর্শীকে বলেন যে, অর্জুন তোমার প্রতি আসক্ত হয়েছে। উর্বশী এই বাক্য বিশ্বাস করে অর্জুনের কাছে গেলে, অর্জুন তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে।পাণ্ডবরা দ্বৈতবনে অবস্থানকালে দুর্যোধন ঘোষযাত্রায় এই বনের কাছে এলে, গন্ধর্বরা বাধা দেন। দুর্যোধন এত ক্ষিপ্ত হয়ে গন্ধর্বদের আক্রমণ করলে, উভয় সৈনাদলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে চিত্রসেনের নেতৃত্বে গন্ধর্বরা দুর্যোধনকে পরাজিত ও বন্দী করেন। সেই সময় গন্ধর্বরা দুর্যোধনের সকল ভাই এবং সকল কৌরব স্ত্রীদের বন্দী করেন। এই সংবাদ পেয়ে যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেবকে কৌরবরমণীদের উদ্ধারের জন্য পাঠান। অর্জুনের সাথে যুদ্ধে চিত্রসেন পরাজিত ও বন্দী হন। পরে চিত্রসেন নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন যে. দুর্যোধন পাণ্ডবদের উপহাস করার জন্য এসেছিল বলে, ইন্দ্রের আদেশে কৌরবদের বন্দী করেছেন। এরপর অর্জুনের সাথে যুদ্ধে নিহত সকল গন্ধর্বদেরকে ইন্দ্র জীবিত করেন। যুধিষ্ঠির চিত্রসেন ও দুর্যোধনের সকল ভাই, কৌরবস্ত্রীদের মুক্তি দেন।