জনক
হিন্দু পৌরাণিক
মহাকাব্য রামায়ণ মতে, জনক
মিথিলা
নগরীর ধার্মিক রাজা ছিলেন।
মিথিলার নিমি নামক রাজা বশিষ্ট মুনিকে ত্যাগ করে এক যজ্ঞ শুরু করেন।
এই কারণে বশিষ্ট ক্রুদ্ধ হয়ে নিমিকে অভিশাপ দেন।
পরে ঋষিরা সুগন্ধ মাল্য-চন্দন দিয়ে নিমির দেহ মন্থন করেন।
এই মথিত দেহ থেকে এক পুত্রের জন্ম হয়।
এই পুত্রের নাম রাখা হয় মিথি।
এঁর অন্য নাম রাখা হয় জনক।
বিচেতন দেহ থেকে উৎপত্তি বলে এঁর নাম হয়েছিল বৈদেহ।
এই মিথি থেকে অধঃস্তন সকল পুরুষ জনক নামে পরিচিত হয়।
রামায়ণের মতে মিথির পুত্র জনকই ছিলেন প্রথম জনক।
আর মিথি রাজার নামানুসারে ঔ রাজ্যের নামকরণ করা হয়েছিল মিথিলা।
রামায়ণে দুজন জনকের নাম পাওয়া যায়।
এদেঁর একজন ছিলেন মিথির পুত্র,
অপরজন হ্রস্বরোমার পুত্র ও সীতার পিতা।
সীতার পিতাই জনকরূপে অধিক পরিচিত। এঁর প্রকৃত নাম ছিল- সীরধ্বজ। এই রাজা হলকর্ষণের সময় সীতার জন্ম হয়। সীতাকে বিবাহ করার জন্য সাংকাস্যার রাজা সুধন্বা আগ্রহ প্রকাশ করলে- জনক তা প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সুধন্বা মিথিলা আক্রমণ করেন। যুদ্ধে সুধন্বা নিহত হন। এরপর ইনি তাঁর ভাই কুশধ্বজার হাতে রাজ্য সমর্পণ করেন। আরও পরে হরধনু ভঙ্গ করে রাম সীতাকে লাভ করেন। এঁর অপর কন্যা উর্মিলার সাথে লক্ষ্মণের বিবাহ হয়। অন্যদিকে কুশধ্বজার দুই কন্যা মাণ্ডবী ও শ্রুতকীর্তির সাথে যথাক্রমে ভরত ও শত্রুঘ্নের বিবাহ হয়।