কীচক
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে, কীচক ছিলেন মৎস্যরাজ বিরাটের শ্যালক ও
প্রধান সেনাপতি ছিলেন।
দ্রৌপদীসহ
পাণ্ডবেরা তাঁদের অজ্ঞাতবাসকালে বিরাটভবনে আশ্রয় গ্রহণ করেন।
এই সময় দ্রৌপদী সৌরন্ধ্রী নামে পরিচিত হন।
দ্রৌপদী এখানে পরিচারিকার কাজ করতেন।
সৌরন্ধ্রীরূপী দ্রৌপদীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কীচক তাঁকে বিবাহের প্রস্তাব দিলে,
দ্রৌপদী তা প্রত্যাখান করেন।
এরপর কীচকের বারবার অনুরোধে সুদেষ্ণা (কীচকের বোন) মদ আনার অছিলায় দ্রৌপদীকে
কীচকের ঘরে পাঠান।
কীচক দ্রৌপদীকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করলে,
দ্রৌপদী তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বিরাটের রাজসভায় উপস্থিত হন।
এরপর কীচক রাজসভায় এসে সর্বসমক্ষে দ্রৌপদীর চুল ধরে তাকে লাথি মারেন।
এই সময় পাণ্ডবরা উক্ত সভায় আত্মগোপন করেছিলেন বলে তাঁরা এসবই সহ্য করেন।
দ্রৌপদী রাত্রে গোপনে ভীমের কাছে গিয়ে,
তাঁকে এর প্রতিশোধ নেবার জন্য উত্তেজিত করেন।
পরে ভীমের পরামর্শে দ্রৌপদী কীচককে সন্ধ্যাবেলায় তাঁর সাথে নাট্যশালায় মিলিত
হওয়ার অনুরোধ করেন।
দ্রৌপদীর এই আহ্বানে কীচক সন্ধ্যাবেলায় নাট্যশালায় উপস্থিত হলে,
ভীম তাঁকে হত্যা করেন।
কথিত আছে,
ভীম তাঁকে হত্যা করে,
তাঁর হাত-পা,
মাথা শরীরের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে একটি মাংসপিণ্ডে পরিণত করেন।