কণাদ
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে–
বৈশেষিক দর্শনের প্রণেতা।
ইনি তণ্ডলকণা খেয়ে জীবনধারণ করতেন বলে এঁর নাম হয়েছিল কণাদ।
এঁর অপর নাম উলুক।
ইনি ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী।
জীবনের কঠোরতাকেই ঋষিদের আধ্যাত্মিক উন্নতির মূলসূত্র হিসাবে বিবেচনা করেছেন।
ইনি 'বিশেষ'
নামক একটি সুক্ষ্ম পদার্থ স্বীকার করে নিয়েছিলেন।
তাঁর মতে- পদার্থ মূলত ১০ প্রকার।
এর মধ্যে ছয়টি ভাব পদার্থ বাকি চারটি অভাব পদার্থ।
ছয়টি পদার্থ হলো- দ্রব্য,
গুণ,
কর্ম,
সামান্য বিশেষ ও সমব্যয়।
অপর চারটি অভাব পদার্থ হলো- প্রাগভাব,
ধ্বংসাভাব,
অন্যোন্যভাব ও অত্যন্ত্যভাব।
ইনি প্রথম পরমাণু সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেছিলেন।
তাঁর মতে- একমাত্র পরমাণুই সত্স্বরূপ নিত্যপদার্থ এবং সমস্ত জড় পদার্থই পরমাণুর
সংযোগে উৎপন্ন হয়েছে।
বিশেষ বিশেষ প্রকার পরমাণুতে বিশেষ নামে পদার্থ আছে।
তারই শক্তিতে ভিন্ন ভিন্ন রূপ পরমাণু ভিন্ন হিসাবে চিহ্নিত হয়।
ইনি প্রথম তেজ ও আলোকে একই বস্তুর বিভিন্ন অবস্থা হিসাবে চিহ্নিত করেন।
কণাদ-দর্শনে ঈশ্বরের উল্লেখ নেই বলে- অনেকে তাঁকে নাস্তিক বলে থাকেন।