ময়দানব
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে- দৈত্য বিশেষ মহর্ষি কশ্যপের ঔরসে দিতির গর্ভে এঁর জন্ম হয় এঁর প্রকৃত নাম ময়, তবে ময়দানব নামেই সর্বাধিক পরিচিত ইনি ছিলেন বিশ্বকর্মার মতই দানবদের অদ্বিতীয় শিল্পী ইনি একহাজার বৎসর তপস্যা করে- ব্রহ্মার বরে শুক্রাচার্যের সকল শিল্পবিদ্যার অধিকারী হন ইনি ব্রহ্মার বরে হিরন্ময় অরণ্য ও প্রাসাদ নির্মাণ করেন

হেমা নামক এক অপ্সরার রূপে মুগ্ধ হয়ে ইনি তাঁকে বিবাহ করেন হেমার গর্ভে ময়ের মায়াবী এবং দুন্দুভি নামক দুটি পুত্র ও মন্দোদরী নামক এক কন্যার জন্ম হয় এঁর স্ত্রী দেবকার্যের জন্য তের বত্সরের জন্য স্বর্গে গেলে- ইনি হীরক, বৈদুর্য, ইন্দ্রনীলখচিত এক মনোরম প্রাসাদ নির্মাণ করেন ইনি তাঁর কন্যা মন্দোদরীকে নিয়ে ভ্রমণে বের হলে- রাবণের সাথে তাঁর দেখা হয় পরে ইনি রাবণের হাতে মন্দোদরীকে সম্প্রদান করেন এই সময় ইনি বিবাহের যৌতুক হিসাবে রাবণকে তপোলবদ্ধ অমোঘ শক্তি দান করেন উল্লেখ্য এই শক্তির আঘাতেই লক্ষ্মণ সংজ্ঞাহীন হয়েছিলেন

ময়দানব সাততলা বিশিষ্ট একটি অপূর্ব প্রাসাদ নির্মাণ করে স্ত্রী হেমার সাথে বসবাস করতেন অগ্নির তৃপ্তির জন্য কৃষ্ণ ও অর্জুন খাণ্ডবদাহন কালে ময়দানব এই বনে অবস্থান করছিলেন এই বন থেকে পলায়নের চেষ্টা করলে কৃষ্ণ তাঁকে আক্রমণ করেন অর্জুনের অনুরোধে কৃষ্ণ এঁর প্রাণভিক্ষা দেন এরপর অর্জুনের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ পাণ্ডবদের জন্য ইনি এক মনোরম সভাগৃহ নির্মাণ করে দেন ইনি ময়মত নামক একটি গৃহনির্মাণ-শিল্প গ্রন্থের প্রণেতা ছিলেন