নরক
১.
জনৈক অসুর।
পোরাণিক কাহিনিতে
নরকাসুর
নামে অভিহিত হয়ে থাকে।
২. মৃত্যুর পর পাপভোগ করার স্থান বিশেষ। সকল ধর্মশাস্ত্রেই অল্পবিস্তর নরকের প্রসঙ্গ দেখা যায়। হিন্দু ধর্ম মতে– অধর্মই নরকের একমাত্র কারণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। চার্বাক বা অন্যান্য নাস্তিকবাদীরা স্বর্গ-নরকের অস্তিত্ব স্বীকার করেন না। তাঁদের মতে, দেহ ভস্ম হলে স্বর্গ-নরকভোগ অসম্ভব। ভাগবতে আছে– এই ভূমণ্ডলের দক্ষিণ দিকে ভূমির নিচে ও জলের উপরে যম মৃত লোকদের এনে তাদের কর্মানুসারে দোষ-গুণের বিচার করেন। এই বিচারের স্থানেই সকল নরক অবস্থিত। যতদিন দোষী আত্মার পাপভোগ শেষ না হয়, ততদিন পাপীরা তারতম্য অনুসারে বিশেষ বিশেষ নরকে পতিত হয়ে শাস্তি ভোগ করেন। কোন কোন মতে– নরকের মোট সংখ্যা একুশটি। এই একুশটি নরকের নাম হলো- তামিস্র, অন্ধতামিস্র, রৌরব, মহারৌরব, কুম্ভিপাক, কালসূত্র, অসিপত্রবন, শূকরমূখ, অন্ধকূপ, কৃমিভোজ, সংদংশ, তপ্তশূর্মী, বজ্রকণ্টকশাল্মলী, বৈতরণী, পূয়োদ, প্রাণরোধ, বিশসন, লালাভক্ষ, সারমেয়াদন, অবীচি ও অয়ঃপান। এ ছাড়া ক্ষারকর্দম, রক্ষোগণভোজন, শূলপ্রোত, দন্দশূক, অবটনিরোধ, পর্যাবর্তন এবং সুচীমূখ নামে আরো সাতটি নরক আছে। সব মিলিয়ে নরকের সংখ্যা দাঁড়ায় আটাশটি।