ঋক্ষরজা
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে-
ইনি ছিলেন রামায়ণে বর্ণিত বালী ও সুগ্রীবের জননী।
কথিত অছে- এক সময় সুমেরু পর্বতের মাঝখানের শৃঙ্গে ব্রহ্মার শত যোজন বিস্তৃত এক সভা
বসতো।
সেই সভায় একদিন যোগাভ্যাসের সময় তাঁর চোখ থেকে যে অশ্রুবিন্দু পতিত হয়,
তা থেকে ঋক্ষরজা নামক বানরের জন্ম হয়।
এই বানর ব্রহ্মার আদেশে ফল-মূল খেয়ে সুমেরু শিখরে বসবাস করতো।
একবার উক্ত পর্বতের উত্তর শিখরে এক নির্মল সরোবরে নিজের প্রতিবিম্ব দেখে সে ভাবলো
যে- নিশ্চয়ই অন্য কোন বানর তাকে অপমান করছে।
সে প্রচণ্ড রেগে গিয়ে,
উক্ত বানরকে আক্রমণ করার জন্য জলে ঝাঁপিয়ে পড়লে,
অত্যন্ত রূপবতী এক নারীতে রূপান্তরিত হয়।
একে দেখে ইন্দ্র ও সূর্য দুজনেই অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
এই অবস্থায় সূর্য এর গ্রীবায় বীর্যপাত করলে- সূগ্রীবের জন্ম হয় এবং ইন্দ্র এর
চিকুরে বীর্যপাত করলে বালীর জন্ম হয়।
পরদিন ঋক্ষরজা তাঁর বানরূপ ফিরে পেলে- এই দুই পুত্রকে নিয়ে ব্রহ্মার কাছে গেলে-
ব্রহ্মা এক দেবদূতের সাহায্যে এদেরকে কিষ্কন্ধ্যার রাজা করে পাঠান।
ব্রহ্মার আজ্ঞায় ইনি সমস্ত বানরকুলের অধিপতি হন।