শিশুপাল
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে–
বৃষ্ণিবংশীয়
চেদি দেশের রাজা ছিলেন।
এঁর পিতার নাম দমঘোষ ও মায়ের নাম শ্রুতশ্রবা।
বিষ্ণু পুরাণের মতে–
পূর্ব জন্মে ইনি হিরণ্যকশিপু ও রাবণরূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
ইনি তিনটি চক্ষু ও চারটি হাত নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের সময় ইনি গাধার মত চিত্কার করতে থাকলে সকলে একে পরিত্যাগ করেন। পরে দৈববাণী হয় যে- একে যেন ত্যাগ না করা হয়। কারণ এঁর মৃত্যুকাল এখনো উপস্থিত হয় নি। তবে যাঁর হাতে নিহত হবেন তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন। পরে শিশুপালের মা দৈববাণীর উদ্দেশ্যে জিজ্ঞাসা করেন যে- এই শিশুর হত্যাকারী কে হবেন। দৈববাণী হয়- যাঁর স্পর্শে এঁর দুটি হাত ও তৃতীয় চোখ খসে পড়বে, তাঁর হাতে এর মৃত্যু হবে। এরপর এই শিশুকে বিভিন্ন রাজার কোলে তুলে দেওয়া হয় কিন্তু তাতে শিশুপালের হাত ও চোখের কোন পরিবর্তন হয় নি। একবার কৃষ্ণ চেদিরাজের দরবারে গিয়ে শিশুপালকে কোলে নিলে এঁর চার হাতের মধ্যে দুটি খসে পড়ে এবং তৃতীয় চোখ মিলিয়ে যায়। এরপর শিশুপালের মা কৃষ্ণকেই তাঁর সন্তানের হত্যাকারী হিসাবে চিনতে পেরে- কৃষ্ণকে অনুরোধ করেন যে- তিনি যেন শিশুপালের সকল অপরাধ ক্ষমা করেন। উত্তরে কৃষ্ণ শিশুপালের ১০০টি অপরাধ ক্ষমা করবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
শিশুপাল বড় হয়ে জরাসন্ধের কাছে প্রতিপালিত হন। উভয় মিলে কৃষ্ণের বিরোধিতা শুরু করেন। ভোজ দেশের রাজকন্যা রুক্মিণী'কে, জরাসন্ধ শিশুপালের জন্য দাবী করেন। কিন্তু রুক্মিণী কৃষ্ণকে মনে মনে পতিত্ব বরণ করে চরমুখে কৃষ্ণের কাছে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। কৃষ্ণ সে প্রস্তাব অনুসারে প্রথমে রুক্মিণীর পিতা ভীষ্মকের কাছে উপস্থিত হয়ে এই বিবাহে সম্মতি প্রার্থনা করলে, ভীষ্মক তাতে অসম্মতি জানান। রুক্মিণী'র ভাই রুক্মী শিশুপালের সাথে বিবাহের আয়োজন করেন। কোন কোন মতে ভীষ্মক রুক্মিণীর জন্য স্বয়ংবর সভার আয়োজন করেন। কৃষ্ণ-বলরাম রুক্মিণীকে হরণ করেন। পরে কৃষ্ণ রুক্মিণীকে বিবাহ করেন। অপহরণের সময় জরাসন্ধ, শিশুপাল সহ অন্যান্য রাজারা তাঁকে বাধা দিলে- তাঁরা কৃষ্ণের কাছে পরাজিত হয়ে স্বদেশে পলায়ন করে। যুধিষ্ঠির ইন্দ্রপ্রস্থে রাজধানী স্থাপন করে রাজসূয় যজ্ঞের আয়োজন করেন। যজ্ঞ শেষে রাজন্যবর্গের মধ্যে কাকে প্রথম অর্ঘ প্রদান করা যায় এমন আলোচনা উঠলে- ভীষ্মের পরামর্শে কৃষ্ণকে প্রথম অর্ঘ দেওয়া হয়। ফলে শিশুপাল একে অসমীচীন বিবেচনা করে কৃষ্ণকে কুত্সিত ভাষায় আক্রমণ করেন। ইতোমধ্যে কৃষ্ণ তাঁর একশত অপরাধ ক্ষমা করেছিলেন। সে কারণে, এবারের এই অপরাধের জন্য কৃষ্ণ সুদর্শন চক্র দ্বারা শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেন।
শিশুমার
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে–
নক্ষত্র বিশেষ।
এর আকৃতি জল-জন্তুর মত।
এঁর হৃদয়ে বিষ্ণু অবস্থিত এবং লেজের কাছে ধ্রুবতারা।
এই শিশুমারকে রাত্রি বেলায় দেখলে দিনের সকল পাপ ক্ষয় হয়।