সম্পাতি
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী। অরুণের ঔরসে শ্যেনীর গর্ভে ইনি জন্মগ্রহণ করেন এঁর ছোট ভাইয়ের নাম ছিল জটায়ু একবার জটায়ু ও সম্পাতি ইন্দ্রকে জয় করবার ইচ্ছায় কাশ পথে অগ্রসর হন কিন্তু পথে সূর্যের প্রচণ্ড কিরণে জটায়ু অবসন্ন হয়ে নিচে পড়তে থাকলে সম্পাতি নিজের পাখা বিস্তার করে জটায়ুকে রক্ষা করেন কিন্তু সূর্যের প্রচণ্ড তাপেম্পাতির পাখা পুড়ে গেলে- ইনি বিন্ধ্য পর্বতে পতিত হন ইনি অমর বলে, এই পতনে তাঁর মৃত্যু না হলেওছয়দিন অজ্ঞান হয়ে ছিলেন চৈতন্য লাভের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেন। কিন্তু পাখা ভেঙে যাওয়ার জন্য পঙ্গুত্বের যন্ত্রণা ভোগ করতে থাকেন। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য, ইনি ঋষি নিশাকরের পাদবন্দনা করেন। ঋষি তাঁকে ডানা ও পালক উদগত হবে- এমন আশার বাণী শোনান

এরপর পঙ্গু অবস্থায় ইনি বিন্ধ্য পর্বতে থাকাকালে তাঁর পুত্র সুপাশ্ব খাদ্য সরবরাহ করতেন সুপাশ্বের কাছে ইনি রাবণ কর্তৃক সীতা হরণের প্রাথমিক ধারণা পান পরে সীতাকে খুঁজতে খুঁজতে বানররা বিন্ধ্যপর্বতে উপস্থিত হলে, ম্পাতি অঙ্গদের কাছ থেকে সীতা হরণ ও জটায়ুর নিধনবার্তা জানতে পারেন এরপর ইনি বানরদের সাহায্যে সমুদ্রের জলে মৃত ভাইয়ের উদ্দেশে তর্পণ করেন ইনি দিব্যচক্ষুর প্রভাবে রাবণ ও লঙ্কাপুরীর বৃত্তান্ত বলেন একই সাথে  সীতা যে লঙ্কায় বন্দিনী ছেন তাও বলেন এরপর সাগর পার হয়ে সীতাকে উদ্ধারের পরামর্শ দেন এই সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত লোচনার পর থেকেই তাঁর পাখা ও পাখার পালক উঠতে থাকে। পরে তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেন।