সঞ্জয়
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে, এই নামে একাধিক চরিত্র পাওয়া যায়।
১. গবল্পনের পুত্র। প্রথমে তিনি ধৃতরাষ্টের রথের সারথি ছিলেন, পরে মন্ত্রী হন। ইনি বেদব্যাসের বরে দিব্যদৃষ্টি লাভ করেন। এই দৃষ্টি বলে ইনি কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের প্রত্যেকটি ঘটনা ঘরে বসেই দেখতে সক্ষম হয়েছিলেন। ইনি যুদ্ধের সমস্ত ঘটনা প্রত্যক্ষ করে অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের কাছে বর্ণনা করেন। ইনি ত্রিকালজ্ঞ হিসাবে খ্যাত ছিলেন। যুদ্ধের শেষে ইনি ধৃতরাষ্টের সাথে বনবাসী হন। বনের দাবানলে ধৃতরাষ্ট্রসহ অনেকে প্রাণ হারালেও ইনি রক্ষা পান এবং ব্যাসদেবের উপদেশে হিমালয়ে তপস্যা করতে যান। পরে হিমালয়েই তপস্যা করতে করতে ইনি প্রাণ ত্যাগ করেন।
২. সৌবীরাজের ঔরসে বিদুলার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। ইনি প্রথমে সিন্ধুরাজ কর্তৃক পরাজিত ও রাজ্যচ্যুত হয়ে হতাশায় নিশ্চেষ্ট হয়ে পড়েন। পরে তাঁর মা বিদুলার দ্বারা উজ্জীবিত হয়ে ইনি যুদ্ধে আগ্রহী হয়ে উঠেন। যুদ্ধে ইনি রাজ্য উদ্ধারে সক্ষম হয়েছিলেন।