সুরসা
হিন্দু পৌরাণিক
কাহিনি মতে- নাগমাতা।
ইনি সমুদ্রতলে অবস্থান করতেন।
হনুমান সীতার অন্বেষণে সাগর লঙ্ঘন করে লঙ্কাযাত্রার উদ্যোগ করলে দেবতা,
গন্ধর্ব,
সিদ্ধ ও ঋষিরা হনুমানের শক্তি পরীক্ষার জন্য সুরসাকে বলেন।
সুরসা রাক্ষসরূপ ধারণ করে হনুমানের পথরোধ করে বলেন যে,
দেবতারা তাঁকে তাঁর খাদ্যরূপে নির্দিষ্ট করেছেন।
উত্তরে হনুমান বললেন যে,
তিনি সীতাকে উদ্ধার করতে লঙ্কায় রামের দূত হয়ে যাচ্ছেন।
সীতার সংবাদ রামকে দিয়ে তিনি সুরাসার মুখে প্রবেশ করবেন।
এরপর সুরসা বলেন যে,
কেহই আমাকে অতিক্রম করে যেতে পারবে না,
এই বর লাভ করেছেন।
এরপর হনুমানকে মুখে প্রবেশ করা কথা বলে তার মুখ প্রসারিত করলেন।
প্রথমে হনুমান তাঁর দেহকে ১০ যোজন বিস্তৃত করলে,
সুরসাও মুখ ১০ যোজন বিস্তৃত করলেন।
এরপর সুরসা ২০ যোজন মুখ বিস্তৃত করে হনুমান ৩০ যোজন বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হলেন।
এইভাবে দুইজনের আয়তন ক্রমেই বৃদ্ধি হওয়ার সময়,
হনুমান হঠাত্ করে নিজেকে অঙ্গুষ্ট প্রমাণ আকৃতি ধারণ করলেন।
পরে সুরসার মুখে প্রবেশ করে আবার বেরিয়ে এলেন।
এরপর সুরসা নিজমুর্তি ধারণ করে হনুমানকে আশীর্বাদ করেন।