শূর্পণখা
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে–বিশ্রবার ঔরসে ও
কৈকসীর গর্ভে এর জন্ম হয়।
রাবণ ও কুম্ভকর্ণ ছিলেন এঁর অগ্রজ ও বিভীষণ ছিলেন অনুজ।
এঁর স্বামীর নাম ছিল
বিদ্যুৎজিহ্ব।
রাবণ দিগ্বিজয়ে বের হয়ে কালকেয়দের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন।
এই সময় ইনি ভুল করে
বিদ্যুৎজিহ্বকে
হত্যা করেন।
পরে রাবণ অনুতপ্ত হয়ে শূর্পনখাকে দণ্ডকারণ্যে ইচ্ছামত আনন্দলাভের জন্য প্রদান করেন।
এই সময় রাবণ শূর্পনখার রক্ষার্থে খর ও দূষণ নামক দুই সেনাপতিকে দণ্ডকারণ্যে নিযুক্ত
করেন।
রাম,
লক্ষ্মণ
ও সীতা দণ্ডকারণ্যে বসবাস করার সময় ইনি রামের রূপে মুগ্ধ হয়ে প্রেম নিবেদন করেন।
রাম তাঁকে প্রত্যাখ্যান করলে,
ইনি লক্ষ্মণের কাছে বিবাহের প্রস্তাব দেন।
লক্ষ্মণও তাকে প্রত্যাখ্যান করেন।
এই সময় শূর্পণখা ক্রুদ্ধ হয়ে সীতাকে ভঙ্গষণ করতে উদ্যত হলে,
লক্ষ্মণ খড়গাঘাতে তার নাক ও কান কেটে তাড়িয়ে দেন।
এরপর শূর্পণখা খর ও দূষণের কাছে এই অপমানের কথা বললে,
তারা উভয়ে বহু রাক্ষস সৈন্যসহ রামকে আক্রমণ করে।
এই যুদ্ধে এঁরা রাম-লক্ষ্মণের হাতে সসৈন্যে নিহত হয়।
এরপর শূর্পণখা লঙ্কায় উপস্থিত হয়ে রাবণকে সমস্ত বিষয় জানিয়ে সুন্দরী সীতাকে অপহরণের
পরামর্শ দেন।