ভগাস্বন
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
হিন্দু দৈবসত্তা
|
দৈবসত্তা
|
আধ্যাত্মিক সত্তা
|
বিশ্বাস
|
প্রজ্ঞা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে–
জনৈক ধার্মিক
রাজা।
ইনি পুত্র-কামনায় যজ্ঞ করে শত পুত্র লাভ করেন।
রাজা এই যজ্ঞে কেবল অগ্নিকেই স্তুতি করেছিলেন।
তাই এতে ইন্দ্র অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে মায়াজাল বিস্তার করে এঁকে সম্মোহিত করেন।
এই সম্মোহনের ফলে,
রাজা
দিগ্ভ্রান্ত ও পিপাসার্ত হয়ে ঘুরে বেড়াতে থাকেন।
এই অবস্থায় ইনি একটি সরোবর দেখতে পেয়ে,
তাতে স্নান করতে
নামেন এবং নারীরূপ লাভ করেন।
এরপর ইনি রাজপুরীতে ফিরে তাঁর স্ত্রী ও পুত্রদের এর কারণ জানান।
পরে পুত্রদের হাতে রাজ্যভার দিয়ে বনে চলে যান।
এই অবস্থায় ইনি জনৈক ঋষির আশ্রমে এসে বাস করতে থাকেন।
পরে উক্ত ঋষির ঔরসে নারীরূপী রাজার গর্ভে আবার একশত পুত্র হয়।
তিনি এই একশত পুত্র নিয়ে পূর্বের একশত পুত্রের কাছে গিয়ে বললেন,
এই
ভাইদের সাথে মিলিত হয়ে তোমরা রাজ্যভোগ কর।
ইন্দ্র দেখলেন যে,
অপকার করতে গিয়ে
তিনি রাজার উপকারই করেছেন।
তাই ভাইদের ভিতর বিরোধ সৃষ্টি করবার জন্য তিনি সেই পুত্রদেরকে বললেন,
তোমরা
একদল রাজার পুত্র,
আর একদল ঋষির
পুত্র,
অতএব তোমাদের
সকলের একত্রে রাজ্যভোগ অসম্ভব।
ইন্দ্রের এই কথা শুনে রাজপুত্ররা নিজেদের ভিতর কলহ করে সবাই নিহত হন।
পুত্রদের মৃত্যু সংবাদে রাজা কাঁদতে আরম্ভ করলে,
ইন্দ্র এসে
বললেন,
আমাকে আহ্বান
না করে যজ্ঞ করেছিলে বলে তোমার এইরূপ ফল হয়েছে।
তখন রাজা ইন্দ্রের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে,
ইন্দ্র সন্তুষ্ট
হয়ে বললেন,
তুমি কোন
পুত্রদের জীবন কামনা করো-তোমার ঔরসজাত পুত্রদের,
না
তোমার গর্ভজাত পুত্রদের ?
তখন রাজা
জানালেন,
তিনি স্ত্রী হয়ে
যে পুত্রদের জন্ম দিয়েছেন,
সেই পুত্রদেরই
জীবন-কামনা করেন।
এতে ইন্দ্র আশ্চর্য হলে রাজা বলেন যে,
পুরুষ অপেক্ষা
স্ত্রীর স্নেহই বেশী।
এতে ইন্দ্র সন্তুষ্ট হয়ে সেই বরই তাকে দান করেন।
তারপর রাজা অন্য বর প্রার্থনা করে বলেন যে,
তিনি স্ত্রী
হয়েই থাকতে চান।
কারণ,
স্ত্রী-পুরুষের
সক্মে স্ত্রীরাই অধিক সুখী হয়।
ইন্দ্র এই বরও তাঁকে দান করেন।