ইনি প্রচলিত ধর্মরীতির বিরোধিতা করে বানপ্রস্থ ও যোগাভ্যাসের উপর জোর দেন। এই কারণে তাঁকে যোগবিদ্যার জনক বলা হয়। একবার বৈস্পায়ন ভুলক্রমে তাঁর ভাগ্নেকে লাথি মারলে, ভাগ্নে মৃত্যুবরণ করেন। এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য, বৈস্পায়ন তাঁর সকল শিষ্যদের সাথে নিয়ে ব্রত উত্যাপন করার উদ্যোগ নেন। এই সময় যাজ্ঞ্যবল্ক্য অহঙ্কারের সাথে বলেন যে, ইনি একাই ওই ব্রত পালন করে তপস্যার ফল দেখাবেন। এতে বৈশল্পায়ন ক্রুদ্ধ হয়ে বলেন যে, তুমি আমার কাছে যা অধ্যায়ন করেছ তা ফিরিয়ে দাও। যাজ্ঞবল্ক্য এই কথায় বৈশস্পায়নের কাছে তাঁর অধীত সকল বিষয় সহ যজুর্বেদ বমন করে ত্যাগ করেন। পরে অন্যান্য মুনিরা তিত্তির পাখি হয়ে উক্ত সকল জ্ঞান পান করেন। এর ফলে তৈত্তরীয় শাখার উৎপত্তি ঘটে।
বমন করার পর যজুর্বেদ লাভ করার জন্য ইনি সূর্যের আরাধনা করেন। সূর্য তাঁর প্রার্থনায় সন্তুষ্ট হয়ে সকল মন্ত্র যাজ্ঞ্যবল্ক্যকে প্রদান করেন। এই বেদটি শুক্ল যজুর্বেদ নামে পরিচিত। পরে ইনি কর্ণ, মধ্যন্দিন সহ ১৫ জন শিষ্যকে এই বেদ শিক্ষা দেন। এঁর দুজন স্ত্রী ছিলেন। প্রথমা স্ত্রী মৈত্রেয়ী ও দ্বিতীয়া স্ত্রী কাত্যায়নী।