অঙ্গ
জৈন ধর্মগ্রন্থ

জৈন ধর্মের আগম শাস্ত্রের একটি অংশ। উল্লেখ্য আগমশাস্ত্র সংখ্যায় পয়তাল্লিশখানি (‘দৃষ্টিবাদ’ বাদে)। অঙ্গ গ্রন্থটির সংখ্যা একাদশ, দৃষ্টিবাদসহ দ্বাদশ। এই দ্বাদশ গ্রন্থ জৈন ধর্মের মূল ভিত্তি। এ ছাড়া রয়েছে ১২টি উপাঙ্গগ্রন্থ।

বর্তমানে প্রচলিত অঙ্গশাস্ত্রটি  মহাবীরের পঞ্চম গণধর সুধর্মস্বামী কর্তৃক প্রচারিত হয়েছিল। এই গ্রন্থ সাধুরা মুখস্থ করে রেখেছিলেন।  মহাবীরের নির্বাণ লাভের পর ১৬০ বৎসর পর্যন্ত এই ১২টি অঙ্গ মুখে মুখেই প্রচারিত হয়েছিল। এরপর এগুলো লিপিবদ্ধ হয়। দৃষ্টিবাদের অন্তর্গত চতুর্দশ পূর্বশাস্ত্রও এই অঙ্গগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।

অঙ্গগ্রন্থের মূল বক্তব্য হলো, প্রতিটি সৎপদার্থের মধ্যে প্রতিক্ষণেই যুগপৎ উৎপত্তি, বিনাশ ও স্থিতির কাজ চলছে (‘উপ্পণেই বা বিগমেই বা ধুবেই বা )। এই ত্রিপদীবাক্যই জৈনদর্শনের মূল কথা। জৈনদর্শনে একে বলা হয় পরিণামবাদ। এই মূল তত্ত্ব দ্বাদশাগ্রন্থে নানাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।