প্রহ্লাদ
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে হিরণ্যকশিপুর ঔরসে কয়াধু'র গর্ভে ইনি জন্মগ্রহণ করেন হিরণ্যকশিপু'র ভাই হিরণ্যাক্ষকে বিষ্ণু বরাহমূর্তি ধরে হত্যা করলে, হিরণ্যকশিপু প্রবলভাবে বিষ্ণুবিদ্বেষী হয়ে পরেন প্রহ্লাদের অপর তিন ভাই- অনুহ্লাদ, সংহ্লাদ ও হ্লাদ পিতার পথ অনুসরণ করলেও প্রহ্লাদ বিষ্ণুভক্ত হয়ে পড়েন

শুক্রাচার্যের পুত্র ষণ্ডামর্ক প্রহ্লাদের গৃহশিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন কিন্তু প্রহ্লাদের বিষ্ণুভক্তি প্রকাশ পেলে ষণ্ডামর্কের কাছ থেকে তা হিরণ্যকশিপু জানতে পারেন প্রথমে হিরণ্যকশিপু ছেলেকে বিষ্ণু পূজা থেকে বিরত থাকতে বলে ব্যর্থ হন পরে ইনি প্রহ্লাদকে খড়্গ দ্বারা হত্যা করার চেষ্টা করেন এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে- ইনি প্রহ্লাদকে হাতির পায়ের তলে, অগ্নিকুণ্ডে ও সাগরে নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন কিন্তু প্রতিবারই বিষ্ণু তাঁকে রক্ষা করেন অবশেষে এক সন্ধ্যায় ইনি প্রহ্লাদকে তাঁর প্রাণ রক্ষার রহস্য জিজ্ঞাসা করলে- প্রহ্লাদ জানায় যে প্রতিবারই তাঁকে বিষ্ণু রক্ষা করেন এরপর ইনি প্রহ্লাদকে জিজ্ঞাসা করেন যে বিষ্ণু কোথায় থাকে উত্তরে প্রহ্লাদ বলেন যে- বিষ্ণু সর্বত্র থাকেন হিরণ্যকশিপু প্রাসাদের একটি স্ফটিক স্তম্ভ দেখিয়ে বলেন যে- বিষ্ণু কি এর ভিতরেও আছে উত্তরে প্রহ্লাদ বলেন যে- আছেন এরপর হিরণ্যকশিপু পদাঘাতে স্তম্ভ ভেঙে ফেললে- স্ফটিকস্তম্ভ থেকে বিষ্ণু নরসিংহরূপ ধরে আবির্ভূত হয়ে হিরণ্যকশিপুকে তাঁর কোলের উপর স্থাপন করে, রাত্রি-দিনের সন্ধিক্ষণে পেট বিদীর্ণ করে হত্যা করেন