যোগিনী
বানান বিশ্লেষণ:
উচ্চারণ:
[জো.গি.নি]
শব্দ-উৎস:
রূপতাত্ত্বিক
বিশ্লেষণ:
পদ:
বিশেষ্য
{|
হিন্দু দৈবসত্তা
|
দৈবসত্তা
|
আধ্যাত্মিক সত্তা
|
বিশ্বাস
|
অভিলব্ধি
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
অর্থ: হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে-
দুর্গার সহচরী।
কোন কোন স্থানে মাত্র আটজন যোগিনীর উল্লেখ পাওয়া যায়,
এঁরা হলেন- শৈলপুত্রী, চণ্ডঘণ্টা, স্কন্দমাতা, কালরাত্রি, চণ্ডিকা, কুষ্মাণ্ডী,
কাত্যায়নী, মহাগৌরী। অন্যমতে-
এরা সংখ্যায় ৬৪
জন।
বিভিন্ন সময় এঁরা দেবীকে সাহায্য করেন বা তাঁর উপদেশ অনুসারে কাজ করেন।
এই কারণে,
দুর্গাপূজার সময় এই ৬৪ যোগিনীর পূজা করার বিধি আছে।
এই মতে- প্রাথমিকভাবে আটজন যোগিনীর নাম উল্লেখ করা হয় এবং
প্রত্যেকের
যোগিনীর অধীনে আরও আটজন যোগিনীর নাম পাওয়া যায়।
যেমন–
ভদ্রকালীর অষ্টযোগিনী: জয়ন্তী, মঙ্গলা, কালী, ভদ্রকালী, কপালিনী, দুর্গা, শিবা, ক্ষমা এবং ধাত্রী।
উগ্রচণ্ডার অষ্টযোগিনী : কৌশিকী, শিবদূতী, হৈমবতী, ঈশ্বরী, শাকম্ভরী, দুর্গা, মহোদরী এবং উগ্রচণ্ডা।
উমার অষ্টযোগিনী: জয়া, বিজয়া, মাতঙ্গী, ললিতা, নারায়ণী, সাবিত্রী, স্বধা, এবং স্বাহা।
তিথি বিশেষে যোগিনীরা এক একদিকে অবস্থান করেন। এঁদের অবস্থান অনুসারে জ্যোতিষী চক্র অর্থাৎ যোগিনী চক্র নির্ধারণ করা হয়। এই অবস্থানগুলো হলো- প্রতিপদ নবমীতে পূর্বদিকে, তৃতীয়া ও একাদশীতে অগ্নিকোণ, পঞ্চমী ও ত্রয়োদশীতে দক্ষিণে, চতুর্থী ও দ্বাদশীতে পশ্চিমে ও পূর্ণিমাতে বায়ুকোণ, দ্বিতীয়া ও দশমীতে উত্তরে, অষ্টমী ও অমাবস্যাতে ঈশানে যোগিনী বাস করেন। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অষ্টযোগিনী হলেন- সুরসুন্দরী, মনোহরা, কনকাবতী, কামেশ্বরী, রতিসুন্দরী, পদ্মিনী, নটিনী, মধুমতী।