মুক্ত ও রুদ্ধ অক্ষর
কোনো শব্দের উচ্চারণের সময়, এর পুরো অংশ
বা কোনো অংশ বিশেষ নিশ্বাসের একক ধাক্কায় উচ্চারিত হয়। প্রথাগতভাবে এই উচ্চারণ
প্রকৃতিকে অক্ষর (Syllable)
বলা হয়। সাধারণত কোনো শব্দ উচ্চারণ করার সময়, শব্দের অংশ বিশেষ রুদ্ধ বা অবারিতভাবে
উচ্চারিত হয়। ধ্বনির এই বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে, শব্দের অক্ষরকে দুটি ভাগে ভাগ
করা হয়। ভাগ দুটি হলো-
১. রুদ্ধাক্ষর
(Close Syllable)
: যখন কোনো অক্ষরের শেষে স্বরধ্বনি থাকে না, তখন অক্ষরটি প্রলম্বিত হয় না, তখন তাকে
রুদ্ধাক্ষর বলা হয়। যেমন- নদ। এক্ষত্রে উচ্চারিত ধ্বনি নির্দেশ হবে- নদ্।
অক্ষরের বিচারে একে বলা হবে রুদ্ধাক্ষর।
২. মুক্তাক্ষর (Open Syllable)।
যখন কোনো অক্ষরের শেষে স্বর থাকে এবং তা অক্ষরকে প্রলম্বিত করে, তখন তাকে বদ্ধাক্ষর
বলা হয়। যেমন- নদী। উচারণের বিচারে এর লিখিত রূপ হবে নো. দি। এখানে 'নো' এবং
'দি' উভয় ধ্বনিই রূদ্ধ হয় না। এই কারণে উভয় ধ্বনিই মুক্তাক্ষর হিসাবে বিবেচিত হবে।
ভাষা তত্ত্বে অক্ষরের ধ্বনি প্রকৃতিকে যে
সঙ্কেত ব্যবহার করা হয়, তা হলো-
স্বরধ্বনি
(Vowel) =V
ব্যঞ্জনধ্বনি (Consonant) =C
এই বিচারে 'নদ' হবে ন্ +অ+দ্=
CVC
'নদী' হবে নোদি= ন্+ও+দ্+ই =CVCV