চিত্তবৃত্তি
সাধারণভাবে চিত্ত বলতে মনকে বুঝায়। প্রতিটি ব্যক্তি সত্ত্বার ভিতরে 'আমি' নামক একটি সত্তা। এই আমি প্রতিটি ব্যক্তিকে পরিচালিত করে। স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন উপকরণের কার্যকারিতার সমন্বয়ে যে পরিচালক শক্তির সৃষ্টির উদ্ভব হয়, 'আমি' নামক সত্তা। এই 'আমি'র পরিচালক বা নিয়ন্ত্রক হলো মন। মন আত্মা ইচ্ছাকে জাগ্রত রাখে এবং প্রকাশযোগ্য করে তোলে।

ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে দেহের বাইরের জগতের সাথে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে 'আমি' উপলব্ধি করে। এর মধ্য দিয়ে চিত্তের নানা ধরনের ইচ্ছা জাগ্রত হয়ে ওঠে। পঞ্চেন্দ্রিয়ের মাধ্যমে উপলব্ধির এই প্রক্রিয়া হলো চিত্তবৃত্তি। পতঞ্জলি'র মতে চিত্তবৃত্তি হলো- ‘বিষয়সম্বন্ধাৎ চিত্তস্য পরিণাম-বিশেষা বৃত্তয়ঃ’। অর্থাৎ বিষয়ের সঙ্গে ইন্দ্রিয়ের সংযোগ হওয়ার ফলে চিত্তের যে বিষয়াকারে পরিণতি (পরিনাম), তাই চিত্তের বৃত্তি। 


যোগশাস্ত্রে পাঁচ প্রকার চিত্তবৃত্তির উল্লেখ পাওয়া যায়। পতঞ্জলি মতে [পাতঞ্জলসূত্র-১/৬] ‘প্রমাণ-বিপর্য্যয়-বিকল্প-নিদ্রা-স্মৃতয়ঃ।’ এই পাঁচ প্রকার চিত্তবৃত্তি আবার ক্লেষ বা অক্লেষ হতে পারে। এখানে ক্লেষ হলো দুঃখদায়ক এবং অক্লেষ হলো- দুঃখনিবারক।



এই পঞ্চপ্রকার বৃত্তি হলো- (১) প্রমাণ, (২) বিপর্যয়, (৩) বিকল্প, (৪) নিদ্রা ও (৫) স্মৃতি। পাতঞ্জলসূত্রের সমাধিপাদে বলা হয়েছে- ‘প্রমাণ-বিপর্য্যয়-বিকল্প-নিদ্রা-স্মৃতয়ঃ।’- (পাতঞ্জলসূত্র-১/৬) অর্থাৎ : প্রমাণ, বিপর্যয়, বিকল্প, নিদ্রা ও স্মৃতিকেই পঞ্চপ্রকার মনোবৃত্তি বলা হয় (পাতঞ্জল-১/৬)। . এদের প্রত্যেকটি আবার ক্লিষ্ট বা অক্লিষ্ট হতে পারে। পাতঞ্জলসূত্রের সমাধিপাদে বলা হয়েছে- ‘বৃত্তয়ঃ পঞ্চতর্য্যঃ ক্লিষ্টা অক্লিষ্টাঃ।’- (পাতঞ্জলসূত্র-১/৫) অর্থাৎ : সেই পঞ্চপ্রকার মনোবৃত্তি আবার দ্বিধাবিভক্ত হয়েছে- ক্লিষ্ট (ক্লেশদায়ক) ও অক্লিষ্ট (ক্লেশ বিনাশক) (পাতঞ্জল-১/৫)। চিত্তের ভোগের প্রতি প্রবৃত্তি বা নিবৃত্তির স্বভাব অনুযায়ী এই বৃত্তিগুলি ক্লিষ্ট বা অক্লিষ্ট হয়। যেমন রাগযুক্ত অথবা দ্বেষযুক্ত প্রত্যক্ষাদি প্রমাণবৃত্তি ক্লিষ্ট, এবং যা রাগদ্বেষের নিবৃত্তিকারক প্রমাণবৃত্তি তা অক্লিষ্ট। অর্থাৎ প্রমাণাদি বৃত্তি যে বিষয়ক হবে ও যেদিকে প্রযুক্ত হবে সে অনুযায়ী তা ক্লিষ্ট বা ক্লেশবর্ধক এবং অক্লিষ্ট বা ক্লেশনিবৃত্তিকারক বলে পরিগণিত হবে। . (১) প্রমাণ : প্রমার করণকে প্রমাণ বলে। প্রমাণের দ্বারা অনধিগত যথার্থ বিষয়ের নিশ্চয় হয়। অর্থাৎ, প্রমাণ থেকে আমরা জ্ঞান লাভ করি। প্রমাণ অনধিগত বিষয়ক হওয়ায়, বোঝা যায়, প্রমাণ স্মৃতি থেকে ভিন্ন। পাতঞ্জলসূত্রে বলা হয়েছে- ‘প্রত্যক্ষানুমানাগমাঃ প্রমাণানি।’- (পাতঞ্জলসূত্র-১/৭) অর্থাৎ : প্রমাণবৃত্তির অন্তর্গত প্রত্যক্ষ, অনুমান ও আগম (পাতঞ্জল-১/৭)। অতএব, যোগদর্শনে স্বীকৃত প্রমাণ তিনপ্রকার- (১) প্রত্যক্ষ, (২) অনুমান ও (৩) আগম। . প্রত্যক্ষ : ইন্দ্রিয় প্রণালীর দ্বারা বাহ্য ও মানস বিষয়ের যে বৃত্তি তা-ই প্রত্যক্ষ। বাহ্যবস্তুর দ্বারা ইন্দ্রিয় উপরঞ্জিত হলে ইন্দ্রিয় প্রণালীর দ্বারা চিত্তে আগত বিষয়ের যে বৃত্তি উৎপন্ন হয় তাকেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ বলে। সহজ কথায়, ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে যে সাক্ষাৎ জ্ঞান লাভ হয় তাই প্রত্যক্ষ জ্ঞান। প্রত্যক্ষ প্রমাণ প্রধানত বিশেষ বিষয়ক। কিন্তু অনুমান এবং আগম প্রমাণের বিষয় সামান্য। বিশেষ বিষয় বলতে আমরা বুঝি যার মূর্তি ও ব্যবধি আছে। অর্থাৎ বাস্তব গুণসকল। আর সামান্য বিষয় হলো জাতি, সত্তাদি। প্রত্যেক বস্তুর অন্য সব বস্তুর থেকে পৃথক যে শব্দ, স্পর্শ, রূপ প্রভৃতি গুণ, তাই হলো তার মূর্তি। অপরপক্ষে ব্যবধি অর্থ হলো আকার। যে কোন একটি বস্তুর, যেমন একটি বই-এর মূর্তি ও আকার শত শত শব্দের সাহায্যেও যথাযথভাবে প্রকাশ করা যায় না। কিন্তু স্বচক্ষে দেখলে তৎক্ষণাৎ তার জ্ঞান হয়। এজন্যেই অন্ধকে রঙের বর্ণনা দিয়ে রঙের জ্ঞান অথবা বধিরকে শব্দের বর্ণনা দিয়ে শব্দের জ্ঞান দেওয়া যায় না। এ কারণে বলা হয়েছে, প্রত্যক্ষ প্রধানত বিশেষ বিষয়ক। তবে প্রত্যক্ষে যে সামান্যজ্ঞান একেবারেই থাকে না, তা নয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রাধান্য থাকে বিশেষজ্ঞানের। . অনুমান : প্রত্যক্ষের দ্বারা অগৃহীত কিন্তু হেতুগম্য বিষয়ের জ্ঞান হলো অনুমান। কোন স্থানে অগ্নি যদি অগৃহ্য বা আড়াল হয় কিন্তু ধূমের সঙ্গে অগ্নির ব্যাপ্তিজ্ঞান যদি থাকে তাহলে ধূম প্রত্যক্ষ করে অগ্নির যথার্থজ্ঞান হতে পারে। এরূপ প্রমাণই অনুমান প্রমাণ। এজন্য অনুমানকে হেতু-পূর্ব বৃত্তি বলা হয়। অনুমান বৃত্তিতে সামান্যজ্ঞানেরই প্রাধান্য। . আগম : কোন ব্যক্তির বাক্যে শ্রোতার যদি সংশয়হীন নিশ্চয়জ্ঞান উৎপন্ন হয়, তাহলে সেই জ্ঞানকে বলা হয় আগম। ঐরূপ বক্তাকে বলা হয় আপ্ত। যথার্থবক্তা বা আপ্তের দ্বারা দৃষ্ট বা অনুমিত বিষয় যখন বাক্যের দ্বারা শ্রোতার প্রমাজ্ঞান উৎপন্ন করে, তখন ঐ প্রমা-জ্ঞানকে বলা হয় আগম। এককথায় শব্দ শুনে শব্দার্থ-বিষয়ক যে বৃত্তি শ্রোতার চিত্তে উৎপন্ন হয়, তা-ই আগম। . (২) বিপর্যয় : বলা হয়, ইন্দ্রিয় বৈকল্যের জন্য প্রত্যক্ষজ্ঞান ভ্রান্ত হতে পারে। সাধ্য ও হেতুর সম্বন্ধজ্ঞানের দোষ ঘটলে অনুমানের দোষ হয়। আবার আগমের বক্তা যদি অজ্ঞ বা প্রবঞ্চক হন তবে আগমও দুষ্ট হয়। এ ধরনের ভ্রান্ত জ্ঞানকে বলা হয় বিপর্যয়। বিপর্যয়ের লক্ষণ প্রসঙ্গে যোগসূত্রকার পতঞ্জলি বলেন- ‘বিপর্যয়ো মিথ্যাজ্ঞানমতদ্রুপপ্রতিষ্ঠম্’- (যোগসূত্র : ১/৮) অর্থাৎ : বিপর্যয় হলো অতদ্রুপ, অপ্রতিষ্ঠ মিথ্যাজ্ঞান। . সোজাকথায়, যে কোন প্রকার ভ্রান্তজ্ঞানই হলো বিপর্যয়, যেমন রজ্জুতে সর্পভ্রম। রজ্জুতে সর্পভ্রম কালে বস্তু প্রকৃতপক্ষে রজ্জু, কিন্তু জ্ঞান তদ্রূপ হয় না। রজ্জুর যথার্থজ্ঞান উৎপন্ন হলে রজ্জুতে সর্পের জ্ঞান খণ্ডিত হয়। এজন্য বলা হয় প্রমাণের বিষয় যথাভূত, কিন্তু বিপর্যয়ের বিষয় তার বিপরীত। . (৩) বিকল্প : অনেক শব্দ বা বাক্য আছে যাদের অভিধেয়ের বাস্তব কোনও সত্তা নেই, অথচ ঐ সব শব্দ বা বাক্য শুনলে একপ্রকার অস্ফুট জ্ঞানবৃত্তি আমাদের চিত্তে হয়। ঐ বৃত্তিগুলিই বিকল্পবৃত্তি। বিকল্পের লক্ষণ প্রসঙ্গে যোগসূত্রকার বলেন- ‘শব্দ-জ্ঞানানুপাতী বস্তুশূন্যো বিকল্পঃ’- (যোগসূত্র : ১/৯) অর্থাৎ : শব্দজ্ঞানানুপাতী ও বস্তুশূন্য অর্থাৎ অবাস্তব পদার্থ-বিষয়ক বৃত্তিই বিকল্প। . যেমন আকাশকুসুম কোন বাস্তব পদার্থ নয়। ‘আকাশ’ ও ‘কুসুম’ শব্দ দুটিকে একত্রিত করে একটি পৃথক আকাসকুসুমের যে কল্পনা, সেই কল্পনাই হলো বিকল্প। বস্তুর অভাবে যেমন বিকল্প হয় তেমনি একপ্রকার বস্তুর স্থলে দু-প্রকার বৃত্তি এবং একপ্রকার বৃত্তির স্থলে দু’প্রকার বস্তুর বিকল্প হয়। এই বিকল্প শব্দ জন্য। যোগমতে, আত্মা ও চৈতন্য এক হওয়া সত্ত্বেও যখন ‘আমার চৈতন্য’ এরূপ ব্যবহার করা হয়, তখন আমি ও চৈতন্য বিষয়ক দুটি পৃথক বৃত্তি জন্মায়। এরূপ বৃত্তিই বিকল্পবৃত্তি। বিকল্প বস্তুস্বরূপের অপেক্ষা করে না। তাই তা বিপর্যয় থেকে ভিন্ন। আবার বিকল্প যেহেতু বস্তুশূন্য সেহেতু তা প্রমাণ নয়। . (৪) নিদ্রা : জাগ্রত ও স্বপ্নের অভাবে তমোমূলক যে চিত্তবৃত্তি তা-ই নিদ্রা। সেই নিদ্রা হলো স্বপ্নহীন সুষুপ্তি। নিদ্রার লক্ষণ প্রসঙ্গে যোগসূত্রকার বলেন- ‘অভাবপ্রত্যয়ালম্বনা বৃত্তিঃ নিদ্রা’- (যোগসূত্র : ১/১০) অর্থাৎ : অভাবপ্রত্যয়ের আলম্বনা বৃত্তিই নিদ্রা। . অভাবের যে প্রত্যয় তাকে অবলম্বন করে যে বৃত্তি হয় তাকেই নিদ্রা বলে। অভাব অর্থে জাগ্রত এবং স্বপ্নের অভাবকেই বোঝানো হয়েছে। প্রশ্ন হতে পারে, চিত্তবৃত্তিমাত্রই কোন না কোন প্রকার প্রত্যয়। অথচ নিদ্রা হলো প্রত্যয়ের অভাব। তাহলে নিদ্রাকে চিত্তবৃত্তি বলা হয় কিভাবে ? উত্তরে যোগভাষ্যকার ব্যাসদেব বলেন, নিদ্রাকালে যদি কোন প্রত্যয়ই না থাকতো তাহলে নিদ্রাভঙ্গের পর নিদ্রাকালীন তামসভাবের স্মরণ হতো না। অথচ নিদ্রাভঙ্গের পর যেহেতু নিদ্রাকালীন তামসভাবের স্মরণ হয়, সেহেতু নিদ্রাকালেও প্রত্যয় হয়, এটা স্বীকার করতে হবে। সংস্কার ব্যতীত স্মরণ হয় না, আবার পূর্বানুভব ব্যতীত সংস্কার হয় না। নিদ্রার যেহেতু স্মরণ হয়, সেহেতু নিদ্রা হলো অনুভূতি বিশেষ। নিদ্রার পূর্বে শরীরের যে আচ্ছন্নভাব বোধ হয়, তাই তমঃ। সেই তমোগুণই এতো গাঢ়তর হয়ে নিদ্রায় পর্যবসিত হয় যে, জাগরিত হয়েও বুঝতে পারে না কোথায় আছে। এই তমোগুণের ফলে সকল বিষয়ের সম্পর্কে আমাদের প্রত্যয়ের অভাব ঘটে। এই অভাব বা তমঃ যে বৃত্তির বিষয়ীভূত, চিত্তের সেই বৃত্তির নামই নিদ্রা। . (৫) স্মৃতি : স্মৃতির লক্ষণ প্রকাশ করতে গিয়ে যোগসূত্রকার বলেন- ‘অনুভূত বিষয়াসম্প্রমোষঃ স্মৃতি’- (যোগসূত্র : ১/১১) অর্থাৎ : অনুভূত বিষয়ের অসম্প্রমোষ অর্থাৎ অনুভূতি বিষয়ের অনুরূপ আকারযুক্ত যে বৃত্তি তা-ই স্মৃতি। . অসম্প্রমোষ অর্থ হলো নিজস্বমাত্রের গ্রহণ এবং পরস্বের অগ্রহণ। বিষয়ের অনুভব যে পরিমাণ হয়, স্মৃতি তার চেয়ে অধিক পরিমাণ হতে পারে না। আবার অগৃহীত বা অননুভূত বিষয়ের স্মৃতি হতে পারে না। এজন্যেই স্মৃতি প্রমাণের অন্তর্গত নয়। স্মৃতির দ্বারা যেমন ঘটাদি বিষয়ের স্মরণ হয় তেমনি ঘটাদি বিষয়ের জ্ঞানেরও স্মরণ হয়। আমরা জাগরিত অবস্থায় যা কিছু দেখি বা অনুভব করি, তাদের সংস্কার চিত্তে অবস্থান করে। কোন উদ্বোধকের উপস্থিতিতে সেই সংস্কার চিত্তপটে উদিত হয় এবং পূর্বানুভূত বস্তুর পুনরুদ্রেক ঘটায়। সংস্কার থেকে উৎপন্ন এই সকল চিত্তবৃত্তিই স্মৃতি। . যোগমতে এই পঞ্চপ্রকার বৃত্তির অতিরিক্ত কোন বৃত্তি নেই। উল্লেখ্য, চিত্তের নানা বৃত্তি হলেও চিত্ত নানা নয়, এক। আবার দ্রষ্টা পুরুষ নানাবৃত্তির প্রকাশক হলেও বিষয়ের নানাত্ব পুরুষে নানাত্ব বা পরিণাম আনে না। কারণ নানাত্ব থাকে ইন্দ্রিয়ে ও অন্তকরণে। এই চিত্তবৃত্তির নিরোধ হবে কিভাবে ? এর উত্তরে যোগসূত্রকার অভ্যাস ও বৈরাগ্যের কথা বলেছেন। অভ্যাস ও বৈরাগ্যের দ্বারা উক্ত পঞ্চপ্রকার চিত্তবৃত্তিসমূহের নিরোধই হলো যোগ। বৃত্তির নিরোধের অর্থ হলো বৃত্তিশূন্যতা। অভ্যাস ও বৈরাগ্যের দ্বারা চিত্ত বৃত্তিশূন্য হয়। যোগমতে, বৃত্তিমুক্ত চিত্ত শান্ত ও স্থিত। পতঞ্জলির মতে পাঁচটি কারণে চিত্তবৃত্তের সৃষ্টি হতে পারে। এই কারণের উপর নির্ভর করে, তিনি চিত্তবৃত্তকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছেন। এই ভাগগুলো হলো
    ১. প্রমাণ : অনুমান দ্বারা সত্য প্রতীয়মান করার উদ্যোগ।
    ২. বিপর্যয় : বিষয় সম্পর্কে ভুল ধারণা
    ৩. বিকল্প : প্রকৃত সত্যের বিপরীত চিন্তা বা কল্পনা
    ৪. নিদ্রা : জ্ঞানহীনতা
    ৫. স্মৃতি : বিগত বিষয় নিয়ে স্মৃতিচারণা।

পতঞ্জলি চিত্তবৃত্তের দুঃখ উৎপাদক বিষয় হিসাবে ৫টি কারণ হিসাবে নির্দেশিত করেছেন। এই কারণগুলো হলো

    ১. অবিদ্যা : প্রকৃত জ্ঞান বিবর্জিত বিষয় বা জ্ঞানহীনতা।
    ২. অস্মিতা : যাবতীয় অহঙ্কার।
    ৩. রাগ : আসক্তি ও আবেগ।
    ৪. দ্বেষ : ঈর্ষা ও বিরাগ।
    ৫. অভিনিবেশ : প্রাণের প্রতি মায়া, পার্থিব ভোগের ইচ্ছা, ভোগ থেকে বিচ্যুত হওয়ার ভয় ইত্যাদি।


সূত্র :
যোগাসনে রোগ আরোগ্য
। ডঃ রমেন মজুমদার
রোগারোগ্যে যোগব্যায়াম। কানাইলাল সাহা
যোগ সন্দর্শন। ডাঃ দিব্যসুন্দর দাস
যোগ ব্যায়াম। সবিতা মল্লিক
http://horoppayoga.wordpress.com/2010/01/06/yoga-eight-limbs-of-patanjali/