মেসেঞ্জার (নভোযান)
MESSENGER
 

বুধ গ্রহে অভিযান চালানোর জন্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) কর্তৃক প্রেরিত মহাকাশযান প্রকল্প এবং নভোযানের নাম। এর পূর্ণনাম MErcury Surface, Space ENvironment, GEochemistry, and Ranging এর শব্দ সংক্ষেপ - হলো MESSENGER

এই প্রকল্পের অধীনে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ৩ রা আগস্ট, যুক্তরাষ্ট্রের কেপ ক্যানাভেরাল মহাশূন্য স্টেশন থেকে বোয়িং ডেল্টা ২ রকেটের মাধ্যমে একটি নভোযান প্রেরণ করা হয়েছিল। এই নভোযানটি মেসেঞ্জার নামেই পরিচিত। এই নভোযানটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল, যেন একটি নির্দিষ্ট সময় পরে এটি বুধের কৃত্রিম উপগ্রহে পরিণত হয়।

নভোযানটি মহাকাশে যাত্রার শুরুর পর ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাসে এটি পৃথিবীকে ঘিরে শেষ আবর্তন সম্পন্ন করে শুক্র গ্রহের দিকে যাত্রা করে। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে শুক্র গ্রহের কাছে পৌঁছায়। এরপর শুক্র গ্রহকে পাশ কাটিয়ে বুধের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ই জানুয়ারিতে নভোযানটি বুধের ২০০ কিলোমিটার উপর দিয়ে উড়ে যায়। এই বছরের অক্টোবর মাসে দ্বিতীয়বার বুধের উড়ে যায়। তৃতীয় বার বুধের পাশে চলে আসে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে। এই তিনবারের পরিক্রমরা মধ্য দিয়ে নভোযানটি বুধের কৃত্রিম উপগ্রহ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। অবশেষে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে বুধ গ্রহের চারপাশে কক্ষপথে প্রবেশ করে কৃত্রিম উপগ্রহে পরিণত হয়। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ এপ্রিল এই নভোযানটি বুধের কক্ষপথে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

মেসেঞ্জারকে পাঠানো হয়েছিল মূলত বুধের ছয়টি বিশেষ ধরনের অনুসন্ধান করার জন্য। এগুলো হচ্ছে- বুধের ঘনত্ব, এর ভূমি গঠনের ইতিহাস, এর চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রকৃতি, এর কেন্দ্রের গঠন, এর মেরু অঞ্চলসমূহে বরফ রয়েছে কিনা এবং এর পাতলা বায়ুমণ্ডল উৎস। এই কারণে আরও শক্তিশালী চিত্রগ্রাহক ও বিশ্লেষক যন্ত্রপাতি সন্নিবেশিত করা হয়েছিল। এছাড়া এতে রয়েছে শক্তিশালী বর্ণালীবীক্ষণ যন্ত্র।
 

সূত্র :
http://www.nasa.gov/