প্রকৃত যোজক কলা
প্রাণীদেহের প্রধান চার প্রকার 
	
কলা 
একটি হলো- 
	যোজক কলা Connective 
tissue।
	গঠন প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে
	যোজক কলাকে  তিনটি 
ভাগে ভাগ করা যায়। প্রকৃত যোজক কলা 
	(Proper Connective Tissue) 
হলো- এই তিনটি
	যোজক কলার 
একটি। 
প্রকৃত যোজক কলার কোষগুলো বিভিন্ন প্রকার তন্তু ও স্বনিঃসৃত মাতৃকায় ছড়ানো থাকে। এগুলো আবার চার প্রকার। এই প্রকার চারটি হলো-
(Areolar tissue):
	এই কলার জেলির মতো অর্ধ-তরল মাতৃকায় ফাইব্রোব্লাস্ট, প্লাজমা কোষ, রঞ্জক কোষ, মাস্টকোষ, হিস্টিওসাইট ইত্যাদি কোষ এবং শাখাহীন শ্বেততন্তু ও শাখা বিশিষ্ট পীততন্তু বর্তমান। দেহত্বকের নীচে, পেশীসমূহের মাঝে, পাকস্থলী, রক্তবাহিকা, অন্ত্র ইত্যাদি অংশে দেখতে পাওয়া যায়। এই কলার হিস্টিওসাইট জীবাণু গ্রাস করে, প্লাজমা কোষ অ্যান্টিবডি সংশ্লেষ করে, ফাইব্রোব্লাস্ট শ্বেতবস্তু তৈরিতে সাহায্য করে ও ক্ষতস্থান সারিয়ে তুলতে অংশ নেয়, মাস্টকোষ হেপারিন তৈরি করে যা রক্ত জমাট বাঁধতে বাঁধা দেয়, রঞ্জক কোষ মেলানিন তৈরি করে।
		
 
	২. 
	শ্বেত তন্তুময় যোজক কলা
	(White fibrous tissue):
	এই কলার ম্যাট্রিক্সে ফাইব্রোব্লাস্ট কোষ থেকে সৃষ্ট হয়।  কোলাজেন নামক প্রোটনে গঠিত শ্বেতবর্ণের স্থিতিস্থাপক ও শাখাবিহীন তন্তু গুচ্ছাকারে ও পরস্পর সমান্তরালভাবে বিন্যস্ত থাকে। এগুলোকে শ্বেততন্তু নামে অভিহিত করা হয়। অন্ত্র প্রাচীরে ও দেহত্বকের নিচে ধারাবাহিক স্তরে বিন্যস্ত থাকে। অস্থির সাথে পেশীকে সংযুক্ত করে, অস্থিবন্ধনী তৈরিতে সহায়তা করে এবং চাপ ও টান থেকে দেহের বিভিন্ন অঙ্গকে রক্ষা করে।
 
	৩.পীত তন্তুময় যোজক কলা 
	(Yellow 
	fibrous tissue): এ কলার মাতৃকায় ইলাস্টন নামক প্রোটিনে গঠিত স্থিতিস্থাপক শাখাযুক্ত 
		পীতবর্ণের তন্তু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অবস্থান করে।
		ফুসফুস, ধমনীর প্রাচীর, সন্ধিবন্ধনী, স্বরযন্ত্র ইত্যাদিতে পাওয়া যায়। এই কলা ফুসফুসের সংকোচন-প্রসারণে অংশ নেয়, রক্তবাহিকাকে স্থিতিস্থাপক করা ছাড়াও এর অত্যধিক প্রসারণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রক্তচাপের সাম্যাবস্থা বজায় রাখে। 
		
		
 ৪.মেদ কলা 
:
	(Adipose tissue):
	এ কলার মাতৃকায় স্নেহ পদার্থে পূর্ণ বৃহদাকার গহ্বর বিশিষ্ট গোলাকার বা 
		ডিম্বাকার কোষ ও স্থিতিস্থাপক তন্তু দেখতে পাওয়া যায়। গহ্বরটি কেন্দ্রে 
		থাকায় সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস কোষের পরিধির কাছাকাছি অবস্থান করে। 
		অন্যান্য যোজক কলার তুলনায় এতে কোষের সংখ্যা বেশি পাওয়া যায়।
		 স্তনগ্রন্থি, অস্থিমজ্জা, ত্বকের নিচে ও 
		বৃক্কের চারপাশে এ কলা বেশী পরিমাণে পাওয়া যায়।
		দেহের তাপ হারানোতে বাঁধা প্রদান, অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহকে বাহ্যিক আঘাত থেকে রক্ষা, দেহের আকৃতি প্রদান ও দেহের শক্তি সঞ্চিত করে রাখতে এ কলা বিশেষ ভূমিকা রাখে।