তেঁতুল
উর্ধ্বক্রমবাচকতা {| শিমজাতীয় বৃক্ষ | বৃক্ষ | কাষ্ঠময় উদ্ভিদ | ভাস্কুলার উদ্ভিদ | উদ্ভিদ | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
 

Kingdom: Plantae
Order: Fabales
Family: Fabaceae
Subfamily: Caesalpinioideae
Tribe: Detarieae
Genus: Tamarindus
Species: T. indica

সমার্থক শব্দাবলি : অম্লী, আম্লিকা, তেঁতুল, তেঁতুলি।
ইংরেজি :
tamarind, tamarind tree, tamarindo
বৈজ্ঞানিক নাম : Tamarindus indica

 

 

দীর্ঘজীবী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় চিরসবুজ Fabaceae গোত্রের Tamarindus গণের এক মাত্র প্রজাতি। আফ্রিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে ছিল এর আদি নিবাস। বিশেষ করে সুদানে এই প্রচুর জন্মে। ব্যবসায়ীদের সূত্রে এই গাছ পরে আফ্রিকার ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া এবং তাঞ্জানিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। আরব-উপদ্বীপের ওমানে প্রাকৃতিকভাবে এই গাছ জন্মে থাকে। কয়েক হাজার বছর আগে এই গাছ বণিকদের সূত্রে এশিয়ার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমান প্রায় সকল মহাদেশের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে এই গাছ কমবেশি দেখা যায়।

 

এই গাছে উচ্চতায় প্রায় ১২-২৪ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। কাণ্ডের উপরিভাগ বেশ বিস্তৃত হয় এবং ঘন পত্রবিন্যাসের কারণে প্রায় ঝোপের মতো দেখায়। এর পাতা রোমশবিহীন পাতাগুলো যৌগিক এবং অচূর পক্ষল। বৃন্তসহ পত্রকের দৈর্ঘ্য ৫-১২ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। প্রায় ১০-২০ জোড়া পত্রক একটি ডাঁটার সাথে যুক্ত থাকে।

এর ফুলগুলো সোনালী হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। ফলগুলো একটি শিমের মতো লম্বা হয়। একটি কাষ্ঠাল আধারে ফল কয়েকটি ভাগে বিভাজিত অবস্থায় থাকে। প্রতিটি ভাগের মাংসাল অংশের ভিতরে বীজ থাকে। কাঁচা অবস্থায় ফলের বাইরের খোসাটি নরম থাকে। এর রঙ হয় সবুজ। ফল পেকে গেলে বাইরে আবরণটি অত্যন্ত ভঙ্গুর কাষ্ঠাল দশায় পৌঁছায়। পাকা তেঁতুলের ভিতরে ফলটির রং হয় চকলেটের মতো এবং ভিতরের বীজের রঙ হয় কালো। মূলত এই মাংসাল অংশই মানুষ খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে। এর ফুল ও ফল হয় এপ্রিল-ডিসেম্বর মাসে।

 

এর ফলের স্বাদ টক। এই ফলে থাকে এ্যাসিড, চিনি, ভিটামিন বি। বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক অম্লমধুর খাবার তৈরিতে এই ফল ব্যবহার করা হয়। তেঁতুলের শরবত পিত্তও কফ নাশক হিসাবে আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে ব্যবহার করার বিধান রয়েছে। রৌপ্য, পিতল ইত্যাদি ধাতব উপকরণ পরিষ্কারকরণে তেঁতুল ব্যবহার করা তেঁতুল বিভিন্নভাবে ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এর কাঠ জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
 

সূত্র :
বাংলা বিশ্বকোষ
চতুর্থ খণ্ড। নওরোজ কিতাবিস্তান।
ভারতীয় বনৌষধি (দ্বিতীয় খণ্ড), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ২০০২।
http://en.wikipedia.org/wiki/Tamarind

http://www.bijlmakers.com/fruits/tamarind.htm