পত্রফলকের আকারগত
প্রকৃতির বিচারে পাতা
পত্রফলকের শিরাবিন্যাসের
-এর প্রকৃতি ছাড়াও বাহ্যিকভাবে কেমন দেখা যায়, তার উপর
ভিত্তি পাতার প্রকৃতি নির্ধারিত হয়। প্রাথমিকভাবে পত্রফলকের প্রকৃতিকে দুটি ভাগে
ভাগ করা হয়। এই ভাগ দুটি
হলো—
সরল
পাতা
(simple
leaf)
যে সকল পত্রফলকযুক্ত পাতাকে সরল পাতা বলা হয়। কোনো কোনো
পত্রফলক পাতার ভিতর দিকে খাঁজ কাটা থাকে। তবে এই কর্তিত অংশ পাতার মধ্যশিরা
পর্যন্ত পৌঁছায় না। অকর্তিত পাতা হিসাবে দেখা যায়, আম, জাম, কাঁঠালের মতো
উদ্ভিদের পাতা। কর্তিত পাতার উদাহরণ হলো- জবা।
যৌগিক
পাতা
(compund
leaf)
এই
জাতীয় পাতার পত্রফলক মধ্যশিরা পৌঁছায় এবং পত্রফলক স্বতন্ত্র পাতার আকারে দেখা
যায়। এদেরকে পত্রক (leaflet)
বলা হয়। এই
পত্রকগুলো পত্রদণ্ডের অক্ষে নানা ধরণের বিন্যাসে সজ্জিত থাকে। পত্রদণ্ডে
পত্রকের বিন্যাসের প্রকৃতি অনুসারে প্রাথমিকভাবে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগ
দুটি হলো—
পক্ষল ও করতলাকার।
|
|
অচূড় পক্ষল যৌগিক পাতা |
সচূড় পক্ষল যৌগিক পাতা |
পক্ষল যৌগিক পাতা এক বা একাধিক শাখাযুক্ত হতে পারে। এই বিচারে পক্ষল যৌগিক পাতা হতে পারে একপক্ষল, দ্বিপক্ষল এবং ত্রিপক্ষল।
দ্বিপক্ষল অচূড় যৌগিক পাতা |
ত্রিপক্ষল অচূড় যৌগিক পাতা |
|
![]() |
|
|
দ্বিপক্ষল অচূড় যৌগিক পক্ষল পাতা |
দ্বিপক্ষল সচূড় যৌগিক পক্ষল পাতা |
ত্রিপক্ষল সচূড় যৌগিক পক্ষল পাতা |
সূত্র :