গ্রন্থি (মানবদেহ)
ইংরেজি : Gland
মানবদেহের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত এমন কিছু কোষ বা কোষগুচ্ছ, যারা
নানা ধরনের নিঃসরণ করে―শারীরবৃত্তীয়
কাজ পরিচালনায় সহায়তা করে থাকে। এই সকল কোষগুচ্ছকে সাধারণভাবে গ্রন্থি বলা হয়। এই
কোষগুচ্ছ মূলত রূপান্তরিত কলা। এই সকল কোষের সংখ্যার বিচারে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা
হয়। এই ভাগগুলো হলো―
-
এককোষী গ্রন্থি
(Unicellular gland):
এই জাতীয়
গ্রন্থিতে একটি কোষ থাকে। যেমন―
মিউকাস গ্রন্থি।
-
বহুকোষী গ্রন্থি
(Multicellular
gland):
এই জাতীয় গ্রন্থিতে একাধিক কোষ নিয়ে গঠিত
হয়। আকারের বিচারে এই গ্রন্থিগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগ দুটি হলো―
- নলাকার গ্রন্থি
(Tubular
gland):
এই জাতীয় গ্রন্থিগুলো
একাধিক কোষ নিয়ে গঠিত। এই গ্রন্থিগুলো নলের আকারে শরীরে অবস্থান করে। গঠনগত
প্রকৃতি অনুসারে এই গ্রন্থিগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগ তিনটি হলো―
- সরল প্যাঁচানো নলাকার গ্রন্থি
(Coiled Tubular
gland):
প্যাঁচানো নলের
মতো এই গ্রন্থি অবস্থান করে।
- সরল শাখান্বিত নলাকার গ্রন্থি
(Branched Tubular
gland):
এই নলাকার গ্রন্থিগুলোতে
বহু শাখা নল থাকে। যেমন―
বগলের ঘাম গ্রন্থি।
- জটিল নলাকার গ্রন্থি
(Compound Tubular
gland):
এই নলাকার গ্রন্থিগুলোতে
জটিল বিন্যাসে বিন্যস্ত থাকে। যেমন―
ডিওডেনামের ব্রুনাস গ্রন্থি।
থলিকাকার গ্রন্থি
(Saccular
gland):
এই জাতীয় গ্রন্থিগুলো
একাধিক কোষ নিয়ে গঠিত। এই গ্রন্থিগুলো থলির আকারে শরীরে অবস্থান করে।
গঠনগত প্রকৃতি অনুসারে এই গ্রন্থিগুলোকে
দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগ দুটি হলো―
- সরল থলিকাকার
গ্রন্থি (
Simple Saccular
gland):
এই জাতীয় গ্রন্থিগুলো
থলিকাকার হয় এবং এদের গঠন প্রকৃতি বেশ সরল হয়ে থাকে। যেমন―
সিবেসাস গ্রন্থি।
-
জটিল থলিকাকার গ্রন্থি
( Compound
Saccular
gland):
এই জাতীয় গ্রন্থিগুলো
থলিকাকার হয় এবং এদের গঠন প্রকৃতি বেশ জটিল হয়ে থাকে।
যেমন―
স্তনগ্রন্থি
।
ক্ষরণ পদ্ধতি ও নির্গমন নালী উপস্থিত বা
অনুপস্থিতির বিচারে গ্রন্থিগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগ দুটি হলো―
সূত্র :
ইন্টারনেট ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও
পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত গ্রন্থাসমূহ।