Kingdom:
প্রাণিজগৎ |
ফানের
ইংরেজি :
Phaner
এটি প্রাইমেট বর্গের প্রাণীকূলের একটি গণ বিশেষ।
১৮৭১ সালে এই গণের নামকরণ করেছিলেন
Gray। চেইরোগ্যালেয়োইডি
গোত্রের পাঁচটি গণের একটি হলো ফানের।
এই গণের মাত্র ৪টি প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলি হলো–
Phaner electromontis
Phaner furcifer
Phaner pallescens
Phaner parienti
নিচে এই প্রজাতিগুলোর পরিচয় দেওয়া হলো–
ফানের ফুরসিফার (Phaner furcifer)
এর প্রচলিত নাম হলো- Eastern Fork-marked lemur। এর বৈজ্ঞানিক নামক Phaner furcifer । ১৮৩৯ খ্রিষ্টাব্দে ফরাসী জীবিজ্ঞানী ব্লাইনভিলে (Henri Marie Ducrotay de Blainville)।
এদের গড় ওজন ৩০০ গ্রাম। গায়ের রঙ হাল্কা বাদামী, তবে নাক ও কপাল বরাবর ক্রিম রঙের আস্তরণ রয়েছে। আর চোখ ঘিরে রয়েছে ঘন রঙের বলয়। বিজ্ঞানীর এই প্রজাতির ভিতরে রঙ বৈচিত্র্য লক্ষ্য করে চারটি উপ-প্রজাতিতে ভাগ করেছেন। এই ভাগগুলি হলো–Phaner furcifer furcifer : প্রজাতিটি পাওয়া যায় উত্তর-পশ্চিম মাদাগাস্কারের মাসোয়ালা (Masoala) প্রণালীর নিকটবর্তী অঞ্চলে। এদের নাক এবং কপালের রঙ বেশ গাঢ় এবং গায়ের রঙ অধিক ঘন বাদামী। মুখের পার্শ্ব জুড়ে রয়েছে হলুদাভ রেখা। হাত পায়ের রঙ বেশ ঘন।
Phaner furcifer pallescens: প্রজাতিটি পাওয়া যায় পশ্চিম মাদাগাস্কারের ফিহেরেনানা (Fiherenana) নদী থেকে সোয়ালালা (Soalala) অঞ্চলের মধ্যবর্তী বনভূমিতে। এদের নাক এবং কপালের রঙ রূপালী-ধূসর এবং এই রেখা লেজের মূল পর্যন্ত বিস্তৃত। মুখের পার্শ্ব জুড়ে যে রেখা দেখা যায়, তা অনেকটা নিষ্প্রভ। হাত পায়ের রঙ বেশ ঘন নয়।
Phaner furcifer parienti : এই উপ-প্রজাতিটি পাওয়া যায় পশ্চিম মাদাগাস্কারের অম্বাঞ্জার (Ambanja) দক্ষিণের সাম্বিরানো (Sambirano) অঞ্চলে। এদের নাক এবং কপালের রঙ ঘন বাদামী বর্ণের হয়ে থাকে এবং এই রেখা লেজের মূল পর্যন্ত বিস্তৃত। মুখের পার্শ্ব জুড়ে যে রেখাটি বেশ জমাট। এই উপ-প্রজাতির পশমে সাদা আঁচর চোখে পড়ে।
Phaner furcifer electromontis : এই উপ-প্রজাতিটি পাওয়া যায় উত্তর মাদাগাস্কার ডি'অম্বরে (d'Ambre) পার্বত্য বনভূমিতে। এদের নাক এবং কপালের রঙ ঘন কিছুটা মিশ্র ধরনের এবং এই রেখা লেজের মূল পর্যন্ত বিস্তৃত। হাত পায়ের রঙ মুখের চেয়ে ঘন।
এই প্রজাতির লেমুরগুলি বিভিন্ন গাছের আঠা, মধু, আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণী আহার করে থাকে। এরা চারপায়ে হাঁটে। তবে জঙ্গলে শাখায় শাখায় লাফিয়েও চলে। এরা ভয়, সতর্ক, যুদ্ধ, যৌনাচরণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ধ্বনি করে থাকে। এদের যৌন-মিলনকাল জুন-জুলাই। তবে নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে সন্তান প্রসব করে। প্রতিটি স্ত্রী-লেমুর গর্ভধারণের পর মাত্র একটি সন্তানের জন্ম দেয়।
সূত্র :
http://www.animalinfo.org
http://www.arkive.org/
http://www.primate-sg.org/
http://www.omahazoo.com/