ইউরিয়া
ইংরেজি : Urea

এটি এক প্রকার জৈব যৌগ। এর অপর নাম কার্ব্যামাইড (Carbamide)। ১৭৭৩ খ্রিষ্টাব্দের দিকে প্রাকৃতি ইউরিয়াকে উত্তাপে অ্যামোনিয়া তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল। গবেষণালব্ধ এ ফলাফল থেকে ইউরিয়ার রাসায়নিক গঠনের একটি সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়। এক সময় ধারণা করা হতো জৈব যৌগ পরীক্ষাগারে প্রস্তুত সম্ভব নয়।
১৮২৮ খ্র
িব্দে ফ্রেডরিক উহ্লার গবেষণাগারে এ্যামোনিয়া ও সায়ানিক এসিড থেকে প্রথম ইউরিয়া তৈরি করেন। এর ফলে পুরানো মতবাদ বাতিল হয়ে যায়।   

এই
জৈব যৌগটির রাসায়নিক সংকেত (NH2)2CO। দুটি এ্যামাইন (-NH2)-এর সাথে কার্বনিল কার্যকরীমূলক (C=O) যুক্ত থাকে  থাকে। 

ইউরিয়া কঠিন, বর্ণহীন, গন্ধহীন, পানিতে অতি সহজে দ্রাব্য এবং তুলনামূলকভাবে অবিষাক্ত। নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ইউরিয়াকে কৃষিকাজে  সার হিসেবে ব্যবহার বহুদিন থেকে প্রচলিত ছিল। এই সূত্রে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছিল:
১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ইউরিয়া বিশ্বের প্রধানতম নাইট্রোজেন সার-এ পরিণত হয়।

রাসায়নিক শিল্পে ইউরিয়াকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিডস্টক (feedstock) হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
শিল্প-কারখানায় ইউরিয়া থেকে ফরমালডিহাইড প্লাস্টিক, ঔষধপত্র ও সার প্রস্তত করা হয়ে থাকে।

 

স্তন্যপায়ী প্রাণীর যকৃতে নাইট্রোজেন যৌগের ভাঙনের ফলে ইউরিয়া তৈরি হয় এবং তা রক্তের সাথে মিশে যায়। পরে মূত্রের মাধ্যমে তা প্রাণীদেহ থেকে নিঃসৃত হয়। মূত্রে ইউরিয়ার ঘনত্ব রক্তের ইউরিয়ার তুলনায় ৬০ থেকে ৭০ গুণ বেশি হয়।