জৈব যৌগ
organic compund

হাইড্রোকার্বন এবং হাইড্রোকার্বনঘটিত যৌগসমূহকে রসায়ন বিজ্ঞানে জৈবযৌগ বলা হয়। অর্থাৎ হাইড্রোজেন এবং কার্বন-এর সমন্বয়ে যে সকল যৌগিক পদার্থ গঠিত হয়, তা হলো সরল জৈব যৌগ। একই সাথে কোনো সরল জৈবযৌগের সাথে অন্যকোন মৌলিক বা যৌগিক পদার্থযুক্ত হয়ে নতুন পদার্থ তৈরি হয়, সেগুলোকেও জৈব যৌগ বলা হয়।

এক সময় ধারণা করা হতো এই জাতীয় পদার্থগুলি পরীক্ষাগারে প্রস্তুত সম্ভব নয়। ১৮২৮ খ্রিব্দে ফ্রেডরিক উহ্লার গবেষণাগারে ইউরিয়া নামক জৈব পদার্থটি তৈরী করার পর এই মতবাদ বাতিল হয়ে যায়।   

 

জৈবযৌগের শ্রেণি বিভাজন করা হয়, হাইড্রোকার্বনের শ্রেণির ভিত্তিতে। যেমন এ্যালিফ্যাটিক হাইড্রোকার্বন-এর ভিত্তিতে এ্যালিফ্যাটিক জৈব যৌগ নির্দেশিত হয়। আবার এ্যারোমেটিক  হাইড্রোকার্বন-এর ভিত্তিতে এ্যারোমেটিক জৈব যৌগ নির্দেশিত হয়।

জৈবযৌগগুলোর কেন্দ্রে চার যোজনী বিশিষ্ট
কার্বন থাকায়- অণুগুলো ত্রিমাত্রিক রূপ লাভ করে। একটি জৈব-অণুর ভিতরে যে সকল মৌলিক পদার্থ থাকে তাদের সংখ্যামানের বিচারে একটি সাধারণ সেট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেমন C6H12O6 একটি জৈবযৌগের সেট। এতে রয়েছে ৬টি কার্বন, ১২টি হাইড্রোজেন এবং ৬টি অক্সিজেন। এরূপ জৈবযৌগের মৌলিক পদার্থগুলোর গঠনবিন্যাস একই রকমের হয় না। যেমন- C6H12O6 জৈবযৌগের সেট দ্বাদশ-বিন্যাসের চেয়ে বেশি। পরমাণুর বিন্যাসের সূত্রে জৈবযৌগগুলোর গুণাগুণের প্রভেদ সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে একটি জৈবযৌগের সেটের সকল জৈবযৌগকে বলা হয় আইসোমার (isomers)।  আইসোমারের সদস্যের গুণাগুণে পার্থক্য থাকলেও, আণবিক ওজন একই হয়।