হাইড্রোকার্বন
hydrocarbon
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
জৈব-যৌগ
|
রাসায়নিক যৌগ
|
বস্তু
|
দৈহিক সত্তা
|
সত্তা
|}
জৈব রসায়নবিদ্যার মূল উপাদান। এই উপাদানটি তৈরি হয়
হাইড্রোজেন ও
কার্বন- এর সমন্বয়ে।
এই কারণে, হাইড্রোজেন ও কার্বন দিয়ে গঠিত দ্বিমৌল
জৈব যৌগ-কে
রসায়নবিদ্যার ভাষায় হাইড্রোকার্বন বলা হয়। যেমন—মিথেন
(CH4),
ইথেন
(CH3−CH3),
প্রোপেন
(C3H8),
বেনজিন
(C6H6)
ইত্যাদি।
হাইড্রোকার্বনসমূহ
তৈরি হয় মূলত কার্বনের যোজনী দ্বারা।
কার্বন- এর যোজনী ৪। সাধারণ ভাষায় বলা যায়,
কার্বন- এর
চারটি হাত আছে। এই চার হাতে যখন এক বা একাধিক
হাইড্রোজেন (এর যোজনী
১) যুক্ত হয় তখনই হাইড্রোকার্বন গঠিত হয়। যেমন—মিথেন (CH4)।
আবার কার্বন- এর এক বা একাধিক হাতের হাইড্রোজেন প্রতিস্থাপিত হয়ে যখন অন্য কোকো মৌলিক বা যৌগিক উপাদান যুক্ত হয়, তখনও তা হাইড্রোকার্বন হিসাবে বিবেচিত হয়। যেমন—মিথাইল ক্লোরাইড (CH3Cl)। অনেক সময়ই হাইড্রোজেন কোনো যৌগমূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। যেমন— মিথেন (CH4)-এর একটি হাইড্রোজেন –OH দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়ে CH3–OH (মিথাইল এ্যালকোহল) তৈরি করে।
হাইড্রোকার্বনের শ্রেণীবিভাগ:
কার্বনবন্ধনীর দ্বারা
হাইড্রোজেন বা প্রতিস্থাপিত অন্য মৌল বা যৌগমূলক আবদ্ধ হওয়ার
সূত্রে এক ধরনের শিকল (chain)
সৃষ্টি
হয়। এই
শিকলের প্রকৃতি অনুসারে হাইড্রোকার্বনকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগ দুটো
হলো–
১.
এ্যালিফ্যাটিক
হাইড্রোকার্বন
(Aliphatic
Hydrocarbon):
এ্যালিফেটিক
শব্দটি একটি গ্রিক শব্দ। এর অর্থ হল ফ্যাট
(Fat)
বা চর্বিজাত পদার্থ। পশুর চর্বিতে এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এই হাইড্রোকার্বনের শিকল
থাকে অচক্রীয় বা সরল।
দেখুন : এ্যালিফ্যাটিক
২. চক্রীয় হাইড্রোকার্বন
(Cyclic
Hydrocarbon)।
যে সকল
হাইড্রোকার্বনের
কার্বন শিকলের দুই প্রান্ত কার্বন পরমাণুর মাধ্যমে যুক্ত থাকে।
ফলে একটি চক্রের সৃষ্টি হয়। এজন্য এদের বলা হয় চক্রীয় হাইড্রোকার্বন।
কার্বন
শিকলের বন্ধন প্রকৃতি অনুসারে চক্রীয় হাইড্রোকার্বনকে দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করা
হয়।
ভাগ দুটি হলো–
১.এ্যালিসাইক্লিক
হাইড্রোকার্বন
২.এ্যারোম্যাটিক হাইড্রোকার্বন
জৈব-অণু গঠনে
হাইড্রোকার্বনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।