এ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন
aromatic
hydrocarbon
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
হাইড্রোকার্বন
|
জৈব-যৌগ |
রাসায়নিক যৌগ
|
বস্তু
|
দৈহিক সত্তা
|
সত্তা
|}
কার্বনবন্ধনীর
দ্বারা
হাইড্রোজেন
বা প্রতিস্থাপিত অন্য মৌল বা যৌগমূলক আবদ্ধ হওয়ার সূত্রে এক ধরনের শিকল (chain)
সৃষ্টি
হয়। এর সাধারণ নাম
হাইড্রোকার্বন।
এই শিকলের প্রকৃতি অনুসারে
হাইড্রোকার্বনকে
প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগের একটি হলো এ্যারোমেটিক
হাইড্রোকার্বন।
উল্লেখ্য এর অপর ভাগটির নাম এ্যালিসাইক্লিক
হাইড্রোকার্বন।
গ্রিক aroma
শব্দের অর্থ হলো
সুগন্ধ।
হাইড্রোকার্বন-এর
এই বিভাগের সকল জৈব-যৌগে সুগন্ধ আছে বলে, এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। এই নামকরণের
পরে আরো অনেক গন্ধহীন বা দুর্গন্ধযুক্ত
জৈব-যৌগের সন্ধান
পাওয়া গেছে, যাদেরকে এই বিভাগের মধ্যেই রাখা হয়েছে। বর্তমানে সুগন্ধের উপর ভিত্তি
করে এ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বনের শ্রেণি নির্ধারণ করা হয় না। আধুনিক কালে
এ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বনের সংজ্ঞায় বলা হয়–
বেনজিন, বেনজিনজাত ও বিশেষ অসম্পৃক্ততা বিশিষ্ট বলয়াকার সমধর্মী জৈব যৌগসমূহকে এ্যারোমেটিক যৌগ বলা হয়।
উপরের সূত্রানুসারে, এই হাইড্রোকার্বনের মাতৃ-যৌগ হলো বেনজিন। বেনজিন-এর মূল বলয় ঠিক রেখে এর সাথে অন্যান্য পরমাণু বা মূলক যুক্ত হয়ে নতুন জৈব-যৌগ তৈরি হয়। এই জাতীয় সকল জৈব-যৌগই এ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন শ্রেণির ভিতরে ধরা হবে।