প্রতীক
H
|
বায়ুমণ্ডলে এই গ্যাস মৌলিক ও যৌগিক উভয় রূপেই পাওয়া যায়। সাধারণভাবে বায়ুমণ্ডলের
ওজনের শতকরা ১ ভাগ হাইড্রোজেন আছে। সৌরমণ্ডলে, আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত গ্যাসে,
অন্যান্য প্রাকৃতিক গ্যাসের খনিতে আবদ্ধ অবস্থায় এবং বায়ুতে মৌলিক হাইড্রোজেনের
অস্তিত্ব দেখা যায়। প্রকৃতিতে যৌগাবস্থায়
পানি,
এ্যাসিড, ক্ষার, পেট্রোলিয়াম ও
অন্যান্য জৈব পদার্থে পাওয়া যায়। সাধারণ হাইড্রোজেন, দুই ধরনের হাইড্রোজেনের
সংমিশ্রণে গঠিত হয়। এদের একটি অর্থো- হাইড্রোজেন, অপরটি প্যারা- হাইড্রোজেন।
উল্লেখ্য,
কোনো হাইড্রোজেনের অণুতে অবস্থিত
প্রোটনদ্বয়ের ঘূর্ণন যদি একই দিকে হয়, তবে তখন তাকে
অর্থো-হাইড্রোজেন বলে। আর যখন দুটি
প্রোটনের ঘূর্ণন পরস্পরের বিপরীত দিকে হয়, তখন
তাকে প্যারা- হাইড্রোজেন বলে। এই হাইড্রোজেন দুইটির রাসানিক ধর্ম একই। তবে
ভৌত ধর্মে কিছু কিছু পার্থক্য দেখা যায়। তূলনামূলকভাবে অর্থো-হাইড্রোজেনের আণবিক
শক্তি বেশি। যে কারণে ২৫% তাপমাত্রার বৃদ্ধির ফলে প্যারা-হাইড্রোজেন ভেঙে যায়।
কিন্তু অর্থো-হাইড্রোজেন ভাঙার জন্য ৭৫% তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রয়োজন হয়।
হাইড্রোজেনের আইসোটোপ : হাইড্রোজেনের তিনটি আইসোটোপ আছে। এগুলি হলো—
১. হাইড্রোজেন : এর প্রতীক
H, এতে একটি
প্রোটন ও একটি
ইলেক্ট্রন আছে,
কোনো
নিউট্রন থাকে না।
২. ডিউটেরিয়াম : এর প্রতীক
D, এতে একটি
প্রোটন, একটি
ইলেক্ট্রন ও একটি
নিউট্রন থাকে।
এটি বর্ণহীন, স্বাদহীন ও গন্ধহীন গ্যাস। এটি সাধারণত সাধারণ হাইড্রোজেন অপেক্ষা
দ্বিগুণ ভারী হয়।
৩. ট্রিটিয়াম : এর প্রতীক
T, এতে একটি
প্রোটন, একটি
ইলেক্ট্রন ও
দুটি
নিউট্রন থাকে। এটি সাধারণ হাইড্রোজেন অপেক্ষা তিনগুণ ভারী।
সূত্র :