আধুনিক পরমাণু-বিশ্লেষণে পরমাণুর ইলেক্ট্রনের পরিচয় তুলে ধরা হয় কোয়ান্টাম সংখ্যা দ্বারা। পরমাণুতে ইলেক্ট্রনের পরিচয় তুলে ধরা হয় চারটি মান দ্বারা। এই মানগুলোকে বলা হয়— প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা, সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা, চৌম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা ও চক্রণ কোয়ান্টাম সংখ্যা। [দেখুন : কোয়ান্টাম সংখ্যা]
১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে জে জে থমসন (J. J. Thomson,) ইলেক্ট্রন আবিষ্কার করেন এবং একই সাথে তিনি পদার্থের ভিতর ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধানের বিন্যাসের বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন। থমসনের পরমাণু মডেলকে Plum pudding model নামে অভিহিত হয়ে থাকে। এই মডেল অনুসারে পুডিং-এর ভিতরে কিশমিশ যেমন ইতস্তত বিক্ষিপ্তাকারে থাকে, পরমাণুর ভিতরে তেমনি ধনাত্মক আধানের ভিতর ঋণাত্মক আধান বিক্ষিপ্তভাবে থাকে। এই ঋণাত্মক আধানগুলোর ভিতরে তড়িৎ মিথস্ক্রিয়ার কারণে এরা এক এ্যাংস্ট্রম পর্যায়ের ব্যাসার্ধের কল্পিত গোলাকৃতি পরমাণুর ভিতর বিন্যস্ত থাকে।
থমসনের পরমাণু মডেল থেকে
পরমাণুর যে গঠন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গিয়েছিল,
রাদার ফোর্ডের মডেল দ্বারা বাতিল
হয়ে যায়। ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে রাদার্ডফোর্ড আলফা কণিকা বিক্ষেপণ পরীক্ষা করেন।
এই পরীক্ষা থেকে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে রাদার্ডফোর্ড একটি প্রস্তাব পেশ করেন।
প্রস্তাবে বলা হয় পরমাণুর কেন্দ্রে ধনাত্মক আধানযুক্ত ভারি বস্তু রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা পরবরতী সময়ে এর নামকরণ করেন নিউক্লিয়াস। পরমাণুর সকল ভর পরমাণুর
নিউক্লয়াসে কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে। এই নিউক্লিয়াসের ব্যাসার্ধ ১০-১৫
মিটার। এই নিউক্লয়াসকে কেন্দ্র করে ইলেক্ট্রনগুলো আবর্তিত হচ্ছে। এই মডেল পরবর্তী সময়ে ত্রুটিপূর্ণ হিসাবে বাতিল হয়ে যায়। এরপরে
এই স্থান পূরণ করে বোরে পরমাণু মডেল।
১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে নেইলস বোর
নতুন একটি মডেল উপস্থাপন করেন। একে বলা হয়
বোর-এর পরমাণু মডেল।
তিনি দুটি স্বীকার্য দ্বারা এই
মডেলকে উপস্থাপন করেন। পরবর্তীকালে পরমাণুর অন্যান্য কণা সম্পর্কে জানা
গেছে।
সূত্র:
বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ। ১-৫ খণ্ড।
http://en.wikipedia.org/