গ্যাস
একটি আদর্শ তাপামাত্রা এবং চাপে যার ভর সুনির্দিষ্ট থাকে, কিন্তু সুনির্দিষ্ট আকার ও আয়তন সুনির্দিষ্ট থাকে না।

১. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা  { গ্যাস। রাসায়নিক প্রপঞ্চ | প্রাকৃতিক প্রপঞ্চ | প্রপঞ্চ |  দৈহিক প্রক্রিয়া | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
ইংরেজি: 
gas, gaseous state
যে কোনো বস্তু কঠিন তরল বা বায়বীয় অবস্থায় থাকতে পারে।
মূলত বস্তুর  তাপ ও চাপের প্রভাবে বস্তুর এই দশার পরিবর্তন ঘটে। বস্তুর অণুসমূহ বিচ্ছিন্নভাবে অনেকখানি জায়গায় ছড়িয়ে পড়লে, এর ঘনত্ব কমে যায়। ফলে বস্তুর গ্যাসীয় দশার সৃষ্টি হয়। ক্রম-পরিবর্তনের ধারায় বস্তুর গ্যাসীয় বৈশিষ্ট প্রপঞ্চের অধীনে চলে যায়। বস্তুর এই দশাকে গ্যাস বা গ্যাসীয় দশা (gaseous state) বলা হয়।

২. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {প্রবহ | বস্তু  | দৈহিক সত্তা| সত্তা | }


প্রবাহী পদার্থের গ্যাসীয় দশা।
একটি আদর্শ তাপামাত্রা এবং চাপে এর ভর সুনির্দিষ্ট থাকে, কিন্তু পাত্রের আকার পরিবর্তনে এর আকার এবং আয়তনের পরিবর্তন ঘটে।

বস্তু মাত্রেই জায়গা দখল করে। বস্তু কঠিন, তরল ও বাষ্পীয় দশায় থাকতে পারে। এর ভিতরে তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের ভিতর একধরনের আন্তঃটান থাকে। ফলে কোনো পাত্রে রক্ষিত তরল বা বায়বীয় পদার্থ থেকে একটু বের করার চেষ্টা করলে, দেখা যায়, পাত্রে রক্ষিত সকল বস্তুর ভিতরে এই টান সক্রিয় হয়ে উঠে। বস্তুর এই বিশেষ গুণের কারণে তরল ও গ্যাসীয় পদার্থকে প্রবাহী বলা হয়।

ইংরেজি:  gas

৩. কলকারখানায়, গড়িতে, রান্নায় জ্বালানী হিসেবে যে গ্যাসীয় উপকরণ ব্যবহার করা হয়, তা হলো নানা ধরনের গ্যাসীয় এবং দাহ্য হাইড্রোকার্বনের সংমিশ্রণ। এতে মূলত হেক্সান, হেপ্টান, অক্টান ইত্যাদি হাইড্রোকার্বন থাকে। ব্যবহারিক ক্ষেত্রে সাধারণভাবে এদেরকে গ্যাস বলা হয়। ইংরেজিতে অনেক সময় একে পেট্রোল বলা হয়। বাংলাতে পেট্রোল বলতে হাইড্রোকারবণের একটি তরল উপকরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইংরেজি:
 gasoline, gasolene, gas, petrol

ব্যবহারিক এবং তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ অনুসারে, এই গ্যাসকে দুটি পর্যায়ে চিহ্নিত করা হয়। যেমন

৩.১. জ্বালিনী (শক্তি উৎপাদক উপকরণ)
যে কোনো ধরনের হাইড্রোকার্বনঘটিত উপকরণ, যা শক্তি উৎপাদনের জন্য জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা 
{ গ্যাস | জ্বালানি | বস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
ইংরেজি:  fuel

৩.২. হাইড্রোকার্বন (রাসায়নিক বিশ্লেষণ)
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা 
{ গ্যাস | হাইড্রোকার্বন | জৈব-যৌগ | রাসায়নিক যৌগ | বস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
ইংরেজি: hydrocarbon

যখন কোনো মহাকাশীয় বস্তুকে ঘিরে গ্যাসীয় আবরণ তৈরি করে তখন তাকে ওই বস্তুর বায়ুমণ্ডল বলা হয়।

৪. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা  { গ্যাস | জীবাশ্ম জ্বালানি | জ্বালানি | বস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
জীবাশ্ম থেকে উৎপন্ন গ্যাস, যা ভূগর্ভে সঞ্চিত হয়। এই গ্যাস অনেক সময় ভূত্বক ভেদ করে নির্গত হয়। ভূগর্ভে প্রচুর পরিমাণ সঞ্চিত আছে এমন গ্যাসকে মানুষ উত্তোলন করে। এই জাতীয় গ্যাস  প্রাকৃতিক গ্যাস নামেই অভিহিত হয়ে থাকে। তবে সাধারণভাবে একে সংক্ষেপে গ্যাস বলা হয়। যেমন গ্যাসক্ষেত্র, গ্যাসকূপ ইত্যাদি। এই গ্যাস সাধারণত জ্বালানি হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এই জ্বালানি উৎপন্ন হয় জীবাশ্ম থেকে। তাই সত্তাতত্ত্বে একে জীবাশ্ম জ্বালনির অন্তর্গত একটি ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইংরেজি:
 
natural gas, gas
 

৫.ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা  { গ্যাস |  দৈহিক দশা |  দশা | সত্তাগুণ | বিমূর্তন| বিমূর্ত সত্তা | সত্তা |}
খাদ্যগ্রহণের ফলে বা জীবদেহের নানা জটিল প্রক্রিয়া পেটে যে বাতাস জমা হয়, তাকে গ্যাস বলা হয়। এই বাতাস পায়ু পথে নির্গত হয়। এই গ্যাসবস্তুবাচক। কিন্তু যখন একে গ্যাসকে শারীরীক দশার কারণ হিসেবে বলা হয়, তখন শারীরীক রোগের পর্যায়ে পড়ে। তখন দশা হিসেবে এই গ্যাস শব্দটি অবস্তুবাচক হয়ে যায়। এই গ্যাস যখন বায়ু পথে নির্গত হয়, সেটাই একটি ক্রিয়াত্মক দশা। গ্যাস ত্যাগ, পাদকর্ম ইত্যাদি ক্রিয়াত্মক দশা হিসেবে অবস্তুবাচক।
ইংরেজি: flatulence, flatulency, gas

৬. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা:  { গ্যাস | পাদান | লিভার | চলকদণ্ড | যন্ত্র | যন্ত্রীকরণ |  মানবসৃষ্ট | সমগ্র | লক্ষ্যবস্তু  | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

গাড়িতে থ্রোটল ভালভ নিয়ন্ত্রণের জন্য এক ধরণের প্যাডল ব্যবহার করা হয়। একে গ্যাস প্যাডল বলা হয়। অনেক সময় এই প্যাডেলকে সংক্ষেপে গ্যাস বলা হয়। যেমন- গ্যাসে চাপ দাও।

ইংরেজি:  accelerator, accelerator pedal, gas pedal, gas, throttle, gun

৬. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা: