এ্যালিফ্যাটিক
গ্রিক aleiphar >ইংরেজি Aliphatic > বাংলা এ্যালিফ্যাটিক

জৈব রসায়নবিদ্যায় জৈব যৌগ বা হাইড্রোকার্বনের একটি শ্রেণিগত নাম। গ্রিক শব্দ
aleiphar- এর অর্থ হল চর্বি। প্রথম এই জৈব যৌগটি পশুর চর্বি থেকে শনাক্ত করা হয়েছিল। তাই এর নাম রাখা হয়েছিল এ্যালিফ্যাটিক বা চর্বিজাত। বাস্তবে দেখা যায় এ্যালিফ্যাটিক যৌগগুলোর অধিকাংশই চর্বিজাত নয়। বর্তমানে একে বিচার করা হয় কার্বন-বন্ধনীর বিচারে। এই শ্রেণির হাইড্রোকার্বনের কার্বন-বন্ধনী একটি সরল বন্ধনী সৃষ্টি করে এবং এর বর্ধিত অংশও একই সরল বন্ধনের ধারাকে অনুসরণ করে। এই শ্রেণির হাইড্রোকার্বন এক ধরনের সরল বা চাক্রিক শিকলের সৃষ্টি করে। তাই এদেরকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগ দুটি হলো- মুক্ত শিকল এ্যালিফ্যাটিক ও চাক্রিক এ্যালিফ্যাটিক যৌগ।
 

১. সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন:  সিগমা বন্ধনযুক্ত এ্যালিফেটিক হাইড্রোকার্বনকে মুক্ত শিকল বা সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন বলে। এসব যৌগের কার্বন শিকল সম্পৃক্ত থাকায় এগুলোর রাসায়নিক সক্রিয়তা কম। তাই এদের প্যারাফিন-ও বলা হয়। আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে এরা এ্যালকেন নামে পরিচিত। এ্যাকেনের সাধারণ আণবিক সংকেত হল (CnH2n+2)। যেমন মিথেন (CH4), ইথেন (C2H6), প্রোপেন (C3H8)
 

২. অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন:
এ্যালিফেটিক হাইড্রোকার্বনের যৌগে কার্বন শিকলে যদি দ্বিবন্ধন বা ত্রিবন্ধন পাওয়া যায় তবে তাকে অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন বলা হয়। অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বনগুলোকে এ্যালকিন ও এ্যালকাইন নামক দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।

এ্যালকিন
(Alkene): এর কার্বন শিকলে কমপক্ষে একটি সিগমা বন্ধন ও একটি পাই বন্ধন থাকে। অর্থাৎ এসব যৌগের কার্বন শিকলে একটি দ্বিবন্ধন দেখা যায় এবং তাদের অন্তত একটিকে সিগমা (σ) বন্ধন ও অপরটিকে পাই (π) বন্ধন হতে হবে। এদের সাধারণ আণবিক সংকেত হল (CnH2n)। যেমন- ইথিন (C2H4), প্রোপিন(C3H6)

এ্যালকাইন (alkyne): এর কার্বন শিকলে একটি সিগমা বন্ধন ও দুটি পাই বন্ধন মিলে ত্রিবন্ধন সৃষ্টি করে। এদের সাধারণ সংকেত হল (CnH2n-2)। এ্যালকাইনের প্রথম সরল জৈব পদার্থটি হলো এ্যাসিটিলিন (C2H2)
।  এই শ্রেণির হাইড্রোকার্বনগুলো হলো এ্যাসিটিলিন (C2H2) মেথিলাসেটাইলেন : CH3C≡CH।