oxyz { ইন্দো-ইউরোপিয়ান ক্রিয়ামূল ak- তীক্ষ্ণ হওয়া, উত্থিত হওয়া> গ্রিক oxys (তীক্ষণ, অম্ল)>প্রাচীন ফরাসি oxys
প্রতীক
O
রাসায়নিক সংকেত O2 পারমাণবিক সংখ্যা ৮ যোজ্যতা ২ পারমাণবিক ভর ১৫.৯৯৯৪ গলনাঙ্ক : -২১৮.৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্ফুটনাঙ্ক : -১৮২.৯৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ইলেক্ট্রোন বিন্যাস 1s2 2s2 2p4 । |
ক. কঠিন দশা-১ : এর তাপগ্রহণের সীমা ৪৩.৭৬-৫৪.৩৯।এই গ্যাসটি পানিতে সামান্য পরিমাণ দ্রবীভূত হয়। ২০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড (৬৮ ডিগ্রী ফারেনহাইট) তাপে এক বায়ুমণ্ডলীয় চাপে— এক কিউবিক মিটার পানিতে অক্সিজেনের দ্রবীভূত হওয়ার পরিমাণ প্রায় ৪৫ গ্রাম। অক্সিজেন পানিতে দ্রবীভূত থাকে বলেই জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীরা শ্বাস-প্রশ্বাস ক্রিয়া চালিয়ে বাঁচতে পারে। যে সমস্ত রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ১৯৩ ন্যানো মিটার থেকে কম (যেমন: অতি বেগুনি রশ্মি)— এইরূপ রশ্মির আঘাতে অক্সিজেনের অণু ভেঙে 'ওজোন' নামক অপর একটি গ্যাসের সৃষ্টি হয়।
খ. কঠিন দশা-২ : এর তাপগ্রহণের সীমা ২৩.৬৬-৫৪.৩৯।
গ. কঠিন দশা-৩ : এর তাপগ্রহণের সীমা ২৩.৬৬।
তীব্র-তপ্ত স্বর্ণ, রৌপ্য, প্লাটিনাম ও প্যালেডিয়াম ধাতু অক্সিজেন শোষণ করে। আবার উক্ত ধাতুকে শীতল করলে অক্সিজেন মুক্ত হয়। অক্সিজেন নিজে জ্বলে না, কিন্তু অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করে। জ্বলন্ত দ্রব্যের সংস্পর্শে এসে অক্সিজেনের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনগুলি নিম্নরূপ।ক. অক্সিজেনবহুল যৌগসমূহের বিয়োজনের সাহায্যে।
খ. পানির বিশ্লেষণ করে। পানিকে তড়িত বিশ্লেষণ করে হাইড্রোজেনের সাথে অক্সিজেন উৎপন্ন করা যায়।
গ. বায়ু থেকে অক্সিজেন পৃথকীকরণ।
১. ধাতুর বা অধাতুর সাথে যুক্ত হয়ে অক্সাইড উৎপন্ন হয়।শ্বাস গ্রহণকালে বায়ুর সাথে অক্সিজেন ফুসফুসে প্রবেশ করে। কোষের অভ্যন্তরস্থ রক্তের সংস্পর্শে এসে ও রক্তের হিমোগ্লোলাবিনের সাথে বিক্রিয়া করে অক্সি-হিমোগ্লোবিন উৎপন্ন করে। শরীরের বিভিন্ন অংশের জৈব-কোষের সংস্পর্শে জারণ ক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয় এবং এই তাপ প্রাণীদেহের উষ্ণতা বজায় রাখে। এর ফলে শরীরের শক্তি উৎপন্নের পাশাপাশি কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করে।
২. এ্যালকালির পটাসিয়াম পাইরোগ্যালেট দ্রবণ বা এ্যামোনিয়াযুক্ত কিউপ্রাস ক্লোরাইড দ্রবণ অক্সিজেন শোষণ করে। অনেক সময় আর্দ্র ফসফরাসও অক্সিজেন শোষণ করে।