কৌস্তুভ
সনাতন হিন্দু ধর্মের পৌরাণিক কাহিনিতে বর্ণিত একটি মহামূল্যবান রত্ন বা মণি। কৌস্তুভ মণির পৌরাণিক বর্ণনা অনুসারে ধারণা করা হয়- এটি ছিল লাল বা পদ্ম-রঙের সবচেয়ে উচ্চ শ্রেণির ও উজ্জ্বল রত্ন । আধুনিক রসায়ন তত্ত্বের বিচারে মাণি বা মাণিক্য হলো- অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডের একটি লাল রঙের অত্যন্ত মূল্যবান এবং দ্যুতিময় রত্ন। এটি পৌরাণিক রত্ন, বাস্তবে অনুরূপ কোনো রত্নের সন্ধান পাওয়া যায় না। তাই রত্নের আধুনিক শ্রেণিকরণে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। পৌরাণিক মহিমা অনুসারে এটিকে মাণিক্য (Ruby) বা হীরকের মতো সবচেয়ে মূল্যবান রত্নের শ্রেণির সঙ্গে তুলনা করা হয়।

মহাভারতের মতে
'মহাসাগর হইতে সুশীতলরশ্মি-সম্পন্ন, সৌম্যমূর্ত্তি, নির্ম্মল শীতাংশু [চন্দ্র] উৎপন্ন হইলেন। তৎপরে ঘৃত হইতে শ্বেত পদ্মোপবিষ্টা লক্ষ্মী ও সুরাদেবী উঠিলেন। উচ্চৈঃশ্রবা নামে শ্বেতবর্ণ হয়-রত্ন ও ঘৃত হইতে উৎপন্ন হইল। পরে মহোজ্জল কৌস্তুভ-মণি ঘৃত হইতে সমুৎপন্ন হইয়া নারায়ণের বক্ষঃস্থলে লম্বমান হইল'।
[ মহাভারতের আদি পর্ব, অধ্যায় ১৮, শ্লোক ৩৭ [সমুদ্রমন্থনারম্ভ]

ভাগবত পুরাণ মতে-

অগ্নিপুরাণ মতে : অগ্নিপুরাণের তৃতীয় অধ্যায়ে সমুদ্র মন্থনের বিষয় বর্ণনায় বলা হয়েছে-  '...পরে বারুণী, পারিজাত তরু কৌস্তভমণি ও অপ্সরাগণ উত্থিত হয়েছিল।'  এছাড়া ২১শ অধ্যায়ের ৬ষ্ঠ শ্লোকে- বিষ্ণুর পূজা-পদ্ধতি বর্ণনা করার সময় তাঁর দিব্য চিহ্ন এবং অলঙ্কারগুলির সঙ্গে কৌস্তুভ মণির উল্লেখ রয়েছে।