পান্না

রবি- জমরুদ, ফার্সী- জমরুদ, ইংরেজি- Emerald, সংস্কৃত- মরকত।
রাসায়নিক সূত্র :
Be3Al2(SiO3)6

এটি বেরিল গাত্রের রত্ন। এর উপাদান এ্যালুমিনিয়াম, রেলিয়াম, সিলিকন ও অক্সিজেনের একটি জটিল যগ। বরিল নামক বরিলিয়াম সমৃদ্ধ করিক থকে এই পাথর পাওয়া যায়। এর সাথে ক্রমিয়াম, হা বা ভ্যানডিয়াম সংযোগে এই রত্নটি সবুজ বর্ণ ধারণ করে। পান্নার এই যগ-পার্থক্য নিরুপণের জন্য পোলরিস্কোপ বাচেলসি ফিল্টার নামক যন্ত্রে পরীক্ষা করা হয়।

এর কাঠিন্য ৭.৫, পেক্ষিক গুরুত্ব ২.৬৭-২.৭৮, প্রতিসরঙ্ক ১.৫৭৬-১.৫৮২, বিচ্ছুরণ ০.০১৪। এর রঙ হাল্কা ও ঘন সবুজ, স্ফটিকের মতো উজ্জ্বল এবং রশ্মি বিকীর্ণকারী। অনেক সময় নীলাভ সবুজ, ফিকে সবুজ, রক্তাভ বর্ণের পান্না পাওয়া যায়। কৃত্রিম উপায়ে পান্না প্রস্তুত করা হয়।  

উত্তর-কলম্বিয়া, পূর্ব  বগোটা, ট্রান্সভাল (দক্ষিণ ফ্রিকা), পাকিস্তান, ভারত, মধ্য ফ্রিকা, ব্রাজিল, ডেশিয়া, শ্রীলঙ্কা ইত্যাদি অঞ্চলে পান্না পাওয়া যায়।

পান্না অলঙ্কারে রত্ন হিসাবে ব্যবহৃত। জ্যতিষশাস্ত্র মতে গ্রহের বুধ, ন্দ্র, শনি, তু গ্রহের অশুভ প্রভাব থকে মুক্ত হতে, জাতকের শুভ কামনায় এই রত্ন ধারণের বিধান ছে। বিভিন্ন রোগ থকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই রত্নের ব্যবহারের বিধান রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এই রত্ন ধারণ করলে বিভিন্ন রোগ থকে রোগ্য লাভ করা যায়। এই রোগের তালিকায় রয়েছেমাশয়, উদরাময় (ক্রনিক), এ্যাসিডিটি, ক্যানসার, তলামি, পক্ষাঘাত, পাণ্ডুরোগ, বহুমুত্র, মানসিক ব্যাধি, স্নায়ুদৌর্বল্য, হাঁপানি, হৃদরোগ। এর প্রভাবে শত্রুতা নিরসনে এই রত্ন ধারণ করা হয়। নবরত্ন আংটিতে পান্না দক্ষিণ পশ্চিম দিকে- বুধের ঘরে ব্যবহার করা হয়।

সংখ্যাতত্ত্বে বিচারে ৫, , ১৪, ১৫, ২৩, ২৪ তারিখে জন্ম গ্রহণ করলে পান্না ধারণ করতে হয়। নক্ষত্র বিধান মতেহিণী, শ্রবণা, হস্তা নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করলে পান্না ধারণের বিধান ছে। গ্রহের বিধান হিসাবে, জন্ম লগ্নে বুধ গ্রহের অবস্থান ছাড়া বাকি ক্ষত্রে পান্না ব্যবহারের বিধান ছে। পান্না কনিষ্ঠাতে ধারণ করতে হয়। পিতল, স্বর্ণ ধাতুতে ও বিস্তারক গাছের মূলে ধারণ করার বিধান ছে। এই রত্ন গদুগ্ধে শোধন করা হয়।

বিখ্যাত পান্না
১। ড
ভেনশায়ারের পান্না : ১৮৩১ খ্রিষ্টাব্দে ১৩৮৩.৯৩ ক্যারেটের এই পান্নাটি দম পড্রো ষষ্ঠ ডিউক অব ডভনশায়ারকে উপহার দিয়েছিলেন। এটি ইংল্যাণ্ডে সুরক্ষিত ছে।
২। হায়দ্রাবাদের নিজামের ১০৮ খণ্ডের পান্নার মালা। এই পান্নাটি একজন
মেরিকার ধনকুবের এক কটি টাকার বেশি দামে নীলামে কিনেছিলেন।