রাউটার
Router

কম্পিউটারভিত্তিক নেটওয়ার্ক কার্যক্রমে ব্যবহৃত একটি বৈদ্যুতিন ডিভাইস বিশেষ। যেহেতু কোনো কম্পিউটারের নিজস্ব হার্ডওয়ারের অংশ নয়, তাই একে বলা হয় বাহ্যিক হার্ডওয়ার ( external hardware)

রাউটারে কাজ
১.এই ডিভাইসটি একাধিক কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মধ্যে তারযুক্ত বা বেতার যোগাযোগের সুবিধা প্রদান করে। বেতার যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত রাউটারকে ওয়াইফাই রাউটার (WiFi router) বলা হয়।  সাধারণত ইন্টারনেট ভিত্তিক যোগাযোগের জন্য রাউটার ব্যবহার করা হয়।

২. রাউটার ডেটা প্যাকেটগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম দূরত্বের পথ ব্যবহার করে। রাউটার ইন্টারনেটে “ট্রাফিক ডিরেক্টিং” এর কাজ সম্পন্ন করে। সাধারণভাবে একাধিক নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত আন্তঃনেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে একটি ডাটা প্যাকেটকে প্রেরণ করে। যখন একটি ডাটা প্যাকেট রাউটারের কাছে পৌঁছায়, তখন রাউটার এর চূড়ান্ত গন্তব্য জানার জন্য প্যাকেটের তথ্য পড়ে। এরপর এর রাউটিং টেবিল বা রাউটিং পলিসিতে থাকা তথ্যের সাহায্যে প্যাকেটটিকে তার গন্তব্যের পরবর্তী নেটওয়ার্কে পাঠিয়ে দেয়।

রাউটারের প্রকরণ
কার্যকারণভেদে নানা ধরনের রাউটার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন-

১. ব্রডব্যান্ড রাউটার Broadband Routers (wired routers) : দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের সাথে সংযোগ প্রদানের জন্য এবং ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য এই রাউটার ব্যবহার করা হয়। এই রাউটার দিয়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ সাধন করা যায়। এক্ষেত্রে তার দ্বারা মডেমের (modem) সাথে সংযুক্ত করে ইন্টারনেট পরিসেবা চালু করা যায়। সাধারণত ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে একটি মডেম থেকে একটি কম্পিউটারে সংযোগ নেওয়া যায়। কিন্তু ওই মডেম থেকে একাধিক কম্পিউটারে সংযোগ পাওয়ার জন্য মডেম থেকে প্রথম রাউটারে সংযোগ দেওয়া হয়। পরে রাউটার থেকে অন্যান্য কম্পিউটারে সংযোগ দেওয়া হয়।

২. বেতার রাউটার (Wireless router): : এই রাউটারগুলোর মাধ্যমে তার ছাড়াই ইন্টারনেট পরিসেবা গ্রহণ করা যায়। এই ধরণের রাউটারগুলো, একটি সুনির্দিষ্ট স্থানের ভিতরে বেতারসঙ্কেত গ্রহণ এবং প্রদান করতে পারে। এর মাধ্যমে ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোলের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। তবে সংযোগ সুরক্ষার জন্য এতে প্রবেশসঙ্কেত (password) ব্যবহার করা হয়।

৩. মূল রাউটার
(Wireless router): : এই রাউটারগুলোর মাধ্যমে তার ছাড়াই ইন্টারনেট পরিসেবা গ্রহণ করা যায়। এই ধরণের রাউটারগুলো, একটি সুনির্দিষ্ট স্থানের ভিতরে বেতারসঙ্কেত গ্রহণ এবং প্রদান করতে পারে। এর মাধ্যমে ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোলের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। তবে সংযোগ সুরক্ষার জন্য এতে প্রবেশসঙ্কেত (password) ব্যবহার করা হয়।

৩. মূল রাউটার
(Core router) : একাধিক রাউটারের মাধ্যমে যখন কোনো নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়, তখন সকল রাউটারের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি কেন্দ্রীয় রাউটার ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় এই রাউটারকে বলা হয় ভিত্তি বা মূল রাউটার। সাধারাণত ল্যান নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণের জন্য এই রাউটার ব্যবহার করা হয়।

৪. এজ রাউটার
(Edge router) : এই রাউটার ব্যবহার করা হয় ইন্টারনেট পরিসেবার জন্য।

৫. ইন্টার প্রোভাডার বর্ডার রাউটার
(Inter provider border routers): এই রাউটার ব্যবহার করা হয় ইন্টারনেট পরিসেবার ক্ষেত্রে একাধিক আইএসপি- ISP (internet service provider) -এর ভিতরে আন্তঃসংযোগ গড়ে তোলার জন্য এই রাউটার ব্যবহার করা হয়।

৬. পকেট রাউটার
(Pocket router) : এটি এক ধরনের বহনযোগ্য রাউটার। ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় এই রাউটার ব্যবহার করা হয় ওয়াইফাই সুবিধা পাওয়ার জন্য। এই কারণে একে অনেক সময় পোর্টেবল পকেট ওয়াইফাই রাউটার (portable WiFi router) বলা হয়। এক্ষেত্রে এই রাউটারের সাথে সিম-কার্ড ব্যবহার করা হয়।