জর্জ বারলো
১৭৭৮ খ্রিষ্টাব্দে জর্জ বার্লো
ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন।
১৭৮৬ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ লর্ড কর্নওয়ালিসকে বাংলার গভর্নর জেনারেলের দায়িত্ব
দেওয়া হয়। এই সময় তিনি বোর্ড অব রেভিনিউ-এর সেক্রেটারি
পদে নিয়োগ পান। কর্নওয়ালিসের শাসনকালে তিনি
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সম্পর্কিত বিধিবিধানের খসড়া প্রণয়নে তাঁর ভূমিকা ছিল খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
১৭৯৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ক্যালকাটা সুপ্রিম গভর্নমেন্টের
চিফ সেক্রেটারি পদে অধিষ্ঠিত হন এবং ১৮০১ খ্রিষ্টাব্দের
অক্টোবর থেকে কাউন্সিলের সদস্যপদ লাভ করেন।
১৮০৩ খ্রিষ্টাব্দে কর্নওয়ালিস, শোর ও ওয়েলেসলীর
শাসনামলে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ
বার্লোকে ‘ব্যারন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
১৮০৫ খ্রিষ্টাব্দের ৫ অক্টোবর লর্ড কর্নওয়ালিস
দেশে
প্রত্যাবর্তনের পথে তিনি গাজীপুরের গাউসপুরে মারা যান। এরপর
তিনি বাংলার অস্থায়ী গভর্নর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান।
১৮০৬ খ্রিষ্টাব্দে দক্ষিণ ভারতের ভেলোর নামক স্থানে
সিপাহী বিদ্রোহ দেখা দিলে অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে এই বিদ্রোহ দমন করা হয়েছিল।
এই কারণে তিনি নিন্দিত হয়েছিলেন।
১৮০৭ খ্রিষ্টাব্দে গভর্নের জেনারেলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন লর্ড মিন্টো এবং তাঁকে
মাদ্রাজের গভর্নরের হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
১৮১৩ খ্রিষ্টাব্দ তিনি পর্যন্ত মাদ্রাজের গভর্নরের দায়িত্ব
পালন করেন। কিন্তু বাংলার তুলনায় মাদ্রাজের সরকার-ব্যবস্থা অধিকতর
গণতান্ত্রিক ছিল বলে তিনি সে পরিবেশে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারেন নি। তাই অচিরেই
সিভিল ও মিলিটারি সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ দেখা দেয়। এক
পর্যায়ে তাঁর বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীতে বিদ্রোহ দেখা দিলে কোর্ট অব ডাইরেক্টর্স
১৮১৩ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে প্রত্যাহার করে নেওয়া
হয়।
১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।