অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায়
(১৮৫১-১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দ)
শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক।
১৮৫১ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশভারতের
বিক্রমপুরের (বর্তমান বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং
উপজেলার কনকসার) জন্মগ্রণ করেন। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণে পর,
কলকাতার প্রেসিডেনসি কলেজে লেখাপড়া করেন।
১৮৭৫ গিলক্রিষ্ট বৃত্তি নিয়ে তিনি ইংল্যান্ডের
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নবিভাগে ভর্তি হন। তবে এডিনবরা যাওয়ার আগে তিনি বরোদা
সুন্দরী দেবীর সাথে তাঁর বিবাহ হয়।
এই কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে বিএসসি পাঠ সমাপ্তের সূত্রে তিনি বিশেষ পুরস্কার
'বাক্সটার বৃত্তি' লাভ করেন। প্রতিযোগিতামূল অপর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তিনি 'হোপ'
পুরস্কার অর্জন করেন। ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ডক্টর অফ সায়েন্স ডিগ্রি লাভ করেন।
১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দে
ইংল্যান্ড থেকে ফিরে এসে হায়দারাবাদের নিজামের আমন্ত্রণে শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিকীকরণে
শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হন।এই সময় তিনি সস্ত্রীক হায়দ্রাবাদে থাকা শুরু করেন। তিনি একটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল দিয়ে এই কাজ শুরু করেন। ধীরে ধীরে
এই স্কুলটিকে কলেজে উন্নীত করেন। এই কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। বর্তমানে এটি
নিজাম কলেজ নামে পরিচিত।
পরে তিনি ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ হিসাবে মহিলাদের জন্য একটি কলেজ চালু করার প্রচেষ্টাও শুরু করেছিলেন।
১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ ভারতে প্রচলিত বিশেষ বিবাহ আইন হায়দ্রাবাদ রাজ্যে চালু
করার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই সময় তিনি
হায়দ্রাবাদে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েন। এই সূত্রে তিনি
হায়দ্রাবাদের স্বদেশী আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। এ সকল কারণে হায়দ্রাবাদে থাকাটা বেশ
কঠিন হয়ে পড়েছিল। ১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি হায়দ্রাবাদ থেকে সপরিবারে কলকাতায় চলে
আসেন এবং শেষ জীবনে তিনি কলকাতায় কাটান।
১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ জানধয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পরিবার
- স্ত্রী: বরোদা সুন্দরী দেবী
- সন্তান:
- কন্যা:
সরোজিনী নাইডু, মৃণালিনী, সুনলিনী ও সুহাসিনী
- পুত্র:
বীরেন্দ্রনাথ, হরেন্দ্রনাথ
সূত্র :