অহোবল, পণ্ডিত
খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীর প্রখ্যাত দক্ষিণ ভারতীয় সঙ্গীতগবেষক ও
সঙ্গীতজ্ঞ।
অহোবলের পিতা শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন বিশিষ্ট সংস্কৃত পণ্ডিত। অধিকাংশ গবেষকদের মতে তিনি
দক্ষিণ ভারতের দ্রাবিড় ব্রাহ্মণ ছিলেন। শৈশবে তিনি পিতার কাছে সংস্কৃত ভাষা শেখেন
এবং অল্প বয়সেই তিনি এই ভাষায় বিশেষে জ্ঞান অর্জন করেন। সঙ্গীতশাস্ত্রে তাঁর
বিশেষ কোনো গুরুর নাম পাওয়া যায় না। তবে যতদূর জানা যায় অল্প বয়সেই তিনি ক্রিয়াত্মক
এবং তাত্ত্বিক সঙ্গীতে তিনি বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।
বয়োপ্রাপ্তির পর তিনি উত্তর ভারতের ধনবড় নগরে বসবাস শুরু করেন। এই নগরের রাজা তাঁর
গান শুনে মুগ্ধ হন এবং এই রাজার পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি উত্তর ভারতীয় সঙ্গীতে বিশেষ
দক্ষতা অর্জন করেন। এই সময় তিনি পণ্ডিত লোচনের সঙ্গীতশাস্ত্রে গভীরভাবে পাঠ করেন।
উত্তর ভারতীয় সঙ্গীতপদ্ধতির তাত্ত্বিক ও ক্রিয়াত্মক বিষয় ধনবড়ের রাজার কাছে
উপস্থাপন করেন। রাজা অহোবলের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে, তাঁর রাজদরবারের পারিষদ করে নেন।
এরপর রাজানুকূল্যে ১৬৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে 'সঙ্গীত পারিজাত নামক একটি গ্রন্থ রচনা
করেন। অহোবল বীণার তারের দৈর্ঘ্যকে ১২টি ভাগে ভাগ করে, স্বরের
স্বরূপ ব্যাখ্যা করেন। পাশ্চাত্য সঙ্গীতগুরুরা এই কাজটি করেছিলেন শব্দের কম্পাঙ্ক
দিয়ে।
সূত্র:
-
সঙ্গীত পারিজাত। অহোবল পণ্ডিত। ভাষান্তর ও
সম্পাদনা, গীতা সোম। দীপায়ন, কলিকাতা ২০০১।
-
সঙ্গীত শাস্ত্র (দ্বিতীয় খণ্ড)।
শ্রীইন্দুভূষণ রায় (সঙ্গীত প্রভাকর)। ১৯শে আশ্বিন ১৩৭৯।