মীর কাসেম আলী
(১৯৫২-২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ)
যুদ্ধাপরাধী এবং
জামায়েত-ই-ইসলামী'র অন্যতম নেতা। ডাক নাম
পিয়ারু এবং মিন্টু।
১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ৩১শে
ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর
জেলার চালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম তৈয়ব আলী (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে
চাকরি করতেন) এবং মায়ের নাম রাবেয়া বেগম। স্ত্রীর নাম খোন্দকার আয়শা খাতুন।
১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে পিতার চাকরির সুবাদে তিনি চট্টগ্রামে বসবাস করেন।
১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন।
১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি জামায়েত
ইসলামীর ছাত্র সংগঠন, ইসলামী ছাত্রসংঘের যোগদান করেন।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি চট্টগ্রাম কলেজে পদার্থ বিজ্ঞানের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এছাড়া এই সময় তিনি চট্টগ্রাম শহর শাখা ইসলামী ছাত্রসংঘের (জামায়াতের তৎকালীন ছাত্রসংগঠন) সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি দলীয় নির্দেশে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেন।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে রাজাকার অর্ডিন্যান্স জারির পর জামায়াতে ইসলামী তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র সংঘের নেতাদের স্ব স্ব জেলার রাজাকার বাহিনীর প্রধান নিযুক্ত করে। রাজাকার বাহিনী তৈরির প্রস্তুতি এবং প্রচারের জন্য, ২রা আগষ্ট চট্টগ্রাম মুসলিম ইন্সটিটিউটে তার নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধী সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশে তিনি গ্রামে গঞ্জের প্রতিটি এলাকায় খুঁজে খুঁজে পাকিস্তান বিরোধীদের শেষ চিহ্নটি মুছে ফেলার নির্দেশ দেন। তিনি ৬ই নভেম্বর তিনি পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের প্রাদেশিক কার্যকরী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক পদেরও দায়িত্ব পান। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনেতিক দলগুলোর সহযোগিতায় ইসলামী ছাত্রসংঘের বাছাই করা সদস্যদের সমন্বয়ে সশস্ত্র আলবদর বাহিনী গঠন করা হয়। সেই আলবদর বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে মীর কাসেম আলী স্বাধীনতাবিরোধী মূল ধারার সঙ্গে একাত্ম হয়ে বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেন।
স্বাধীনতাযুদ্ধের শেষে মীর কাশেম পালিয়ে ঢাকা
চলে আসেন। সে সময় তিনি নিজেকে মিন্টু নামে নিজেকে পরিচয় দিতেন এবং নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা
হিসেবে দাবি করতেন। কিন্তু বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে, মঈনুদ্দিন নামক অপর একজন
যুদ্ধাপরাধীর সাথে পালিয়ে লণ্ডন চলে যান। পরে সেখান থেকে সৌদি আরব যান এবং সেখানে
স্বাধীনতা বিরোধীদের সংগঠিত করতে থাকেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশে ফিরে আসেন মীর
কাশিম।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে, ১৯৭৭
খ্রিষ্টাব্দের ৬ই ফেব্রুয়ারি ইসলামী ছাত্র সংঘ নাম বদল করে ছাত্রশিবির নামে রাজনীতি
শুরু করে। মীর কাসেম ছিলেন ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম সভাপতি। ওই সময়
থেকে তিনি জামায়াতের রাজনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য, দলটির অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্ত করার উদ্যোগ নেন।
১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দের
দিকে তিনি জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য হন। এই বছরে তিনি
আন্তর্জাতিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান রাবেতা আলমে ইসলামীর বাংলাদেশ শাখার পরিচালক হন।
এরপর বাংলাদেশে দুঃস্থ মুসলমানদের পরিসেবা, মসজিদ নির্মাণ ও সংস্কার, মাদ্রাসা
স্থাপনের জন্য মধ্যপ্রাচ্য থেকে অর্থ সংগ্রহ করা শুরু করেন। গোড়ার দিকে
তিনি রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের নামে রাবেতা আল ইসলামী নামক একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
সংগৃহীত টাকায় তিনি, ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন 'ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ
লিমিটেড'। এই বছরেই তাঁর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় ইবনেসিনা হাসপাতাল। উল্লেখ্য,
ইবনেসিনা ট্রাস্টের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়, ইবনেসিনা হাসপাতাল ও ইবনে সিনা
ফার্মাসিটিক্যাল কারখানা। মীর কাসেম আলী ইবনে সিনা ট্রাস্ট (প্রশাসন) ও ইবনে সিনা
ফার্মাসিউটিক্যালসের বোর্ড অব ডিরেক্টরের সদস্য ছিলেন তিনি।
ইবনে সিনা ট্রাস্টের অধীনে আটটি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক ও ইমেজিং সেন্টার, একটি
মেডিক্যাল কলেজ, একটি নার্সিং কলেজ ও একটি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি, ইসলামী
ব্যাংক হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক স্কুল ও কলেজ এবং দিগন্ত পেপার মিলের উদ্যোক্তা
ছিলেন কাসেম আলী। তিনি ফুয়াদ আল খতিব ফাউণ্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান,
অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রাস্ট (এআইটি) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে
দলটির শুরা সদস্যপদ লাভ করেন। এরপর তিনি তথ্যমাধ্যমে নিজেদের মতাদর্শ প্রচারের জন্য
গড়ে তোলেন 'দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশন'। এই সংস্থার পক্ষ থেকে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে
প্রকাশিত হতে থাকে প্রকাশিত হতে থাকে, 'দৈনিক
নয়া দিগন্ত'।
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে জামায়াত সমর্থক হিসেবে পরিচিত 'দিগন্ত মিডিয়া
কর্পোরেশন'-এর পক্ষ থেকে 'দিগন্ত টেলিভিশন' সম্প্রচার শুরু করে। তিনি এই
টেলিভিশনের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান ছিলেন। ওই প্রতিষ্ঠানেরই সংবাদপত্র দৈনিক নয়া দিগন্ত এবং
টেলিভিশন চ্যানেল দিগন্ত টেলিভিশন। এছাড়া তিনি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক।
মীর কাসেম আলী কেয়ারী হাউজিং ও ইডেন শিপিং লাইনস গড়ে তোলেন। 'কেয়ারী’
শিরোনামে তিনি নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। যেমন- কেয়ারী লিমিটেড,
কেয়ারী পোলট্রি হ্যাচারি অ্যান্ড প্রসেস, কেয়ারী স্প্রিং, কেয়ারী শান, কেয়ারী
ট্যুরস অ্যান্ড সার্ভিসেস, কেয়ারী তাজ, কেয়ারী কালার সেন্টার, কেয়ারী ঝর্ণা,
কেয়ারী রিয়েল এস্টেট ও কেয়ারী টেলিকম লিমিটেড। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্ট
মার্টিনে যাওয়ার জন্য রয়েছে বিলাসবহুল পাঁচটি প্রমোদতরি কেয়ারী ক্রুইজ, কেয়ারী
ডাইন, কেয়ারী সিন্দবাদ, কেয়ারী কর্ণফুলী ও কেয়ারী তরঙ্গের। এ ছাড়া কেয়ারী
গ্রুপের সহস্রাধিক অ্যাপার্টমেন্ট ও বিপণি বিতান রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম,
কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে।
এ বিষয়ে 'বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার অনলাইন সংখ্যায় (সোমাবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬),
তাঁর সম্পত্তির যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে, তা হলো-
যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদের মালিক জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী। বেশকিছু আর্থিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক মীর কাসেমের সম্পদ হাজার কোটি টাকার বেশি। কিন্তু সে তুলনায় তার ব্যক্তি নামে সম্পদ কম দেখানো হয়েছে। তার তত্ত্বাবধানের বেশির ভাগ সম্পদই বিভিন্ন কোম্পানি, ট্রাস্ট ও বেসরকারি সংস্থার নামে রয়েছে। ঢাকা কর অঞ্চল-৫-এর সার্কেল ৫০-এর করদাতা মীর কাসেম আলীর কর শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএন নম্বর হলো ০৭৬-১০৩-৯৬৬৩। তিনি ঢাকার মিরপুরের দক্ষিণ মনিপুরে ২৮৭ নম্বর প্লটের বহুতল ভবন পেয়েছেন পৈতৃকসূত্রে। এ ছাড়া তার ব্যক্তি নামে ঢাকার মোহাম্মদপুরে একতা সোসাইটির ৫ কাঠা জমি ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চালায় সাড়ে ১২ শতক জমি রয়েছে। তিনি ধানমন্ডির বহুতল ভবন কেয়ারী প্লাজার অবিক্রীত ১৭৮.৬৯ বর্গমিটারের মালিক। বাকি অংশ ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মোট ২৭ হাজার ২৭৭টি শেয়ার রয়েছে তার নিজ নামে। স্ত্রীর নামে রয়েছে ১০০টি এবং দুই ছেলে-তিন মেয়ের নামে রয়েছে ৫০০টি। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের ২ হাজার ১১৩টি শেয়ার, কেয়ারী লিমিটেডের ১৪ হাজার শেয়ার, কেয়ারী টেলিকমের ১০ হাজার, কেয়ারী ট্যুরস অ্যান্ড সার্ভিসেসের ১ হাজার শেয়ার, কেয়ারী ঝর্না লিমিটেডের ২০টি, কেয়ারী তাজ লিমিটেডের ৫টি, কেয়ারী সান লিমিটেডের ৫টি, কেয়ারী স্প্রিং লিমিটেডের ২০টি, সেভেল স্কাই লিমিটেডের ১০০, মীর আলী লিমিটেডের ২৫টি এবং দিগন্ত মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের ১০০টি শেয়ার রয়েছে মীর কাসেম আলীর নামে। তিনি কেয়ারী লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ইবনে সিনা ট্রাস্টের সদস্য (প্রশাসন), ইবনে সিনা হাসপাতালের পরিচালক, ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের পরিচালক, এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রাস্টের সদস্য ও ফুয়াদ আল খতিব চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের সদস্য। তিনি ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন, রাবেতা আল আলম আল ইসলামী, ইবনে সিনা ট্রাস্ট, এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রাস্ট, ফুয়াদ আল খতিব চ্যারিটি ফাউন্ডেশন এবং অ্যাসোসিয়েশন অব মাল্টিপারপাস ওয়েলফেয়ার এজেন্সিসের বিভিন্ন বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থিতির জন্য নিয়মিত ভাতা পেতেন। এ ছাড়া পরিচালনা পর্ষদে আছেন ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট অ্যান্ড বিজনেসমেন চ্যারিটি ফাউন্ডেশন, আল্লামা ইকবাল সংসদ, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম, দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি, সেন্টার ফর স্ট্রাটেজি অ্যান্ড পিস, বায়তুশ শরফ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ইসলামিক ট্রাস্ট ও ইসলামিক ইকোনমিক্স রিসার্চ সেন্টারের। মীর কাসেম আলীর ২০১০ সালের আয়কর রিটার্নে ব্যক্তিগত ঘোষিত মোট পরিসম্পদ ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩২৪ টাকা। এর মধ্যে তার নামে থাকা শেয়ারগুলোর মূল্য ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ঢাকার বাড়ি ও জমির দাম মাত্র কয়েক লাখ টাকা করে উল্লেখ করা হয়েছে রিটার্নে। সে সময় তার বার্ষিক আয় ছিল ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৫২৯ এবং ব্যাংকে ছিল ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭০১ টাকা। তবে মীর কাসেম আলী-সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের অঙ্কগুলোও বড় (কোনোটিই খেলাপি নয়)। কেয়ারী লিমিটেডের নামে ঋণ ৬০ কোটি ৯৩ লাখ, ইবনে সিনা ট্রাস্টের নামে ৫০ কোটি, ইবনে সিনা হাসপাতালের ৬ কোটি ৩৪ লাখ, ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের ২০ কোটি, দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের নামে ৪১ কোটি ৩৫ লাখ, এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়ালের ২৩ কোটি ৭৫ লাখ এবং ফুয়াদ আল খতিবের নামে ২ কোটি ৯৬ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে।
এই প্রতিবেদন অনুসারে, তাঁর পাকা ব্যবসায়ী মনোভাব স্পষ্ট হয়ে উঠে। ট্রষ্টি তৈরির পরেও তিনি বিপুল পরিমাণ শেয়ার নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নামে রেখেছিলেন। পর্যাপ্ত অর্থ থাকার পরও ঋণ ঝুলিয়ে রেখে আয়কর মুক্ত থাকার চেষ্টা করেছেন। যুদ্ধাপরাধের দায় থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ব্যক্তিগতভাবে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছেন, দেশী এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্য।
২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেম
আলীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে, ওইদিন বিকেলে মতিঝিলে দৈনিক নয়া
দিগন্ত পত্রিকার কার্যালয় (দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশন) থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৫ই
সেপ্টেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল-১। পরে
মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২৪
জন ও আসামিপক্ষে তিনজন সাক্ষ্য দেন। ২৩ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তি উপস্থাপন
শুরু হয়। গত ৪ মে দুই পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে রায় অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা
হয়।
২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ২ নভেম্বর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাঁর
মৃত্যুদণ্ড ও ৭২ বছরে কারাদণ্ড প্রদান করে। এরপর তাঁর আইনজীবীরা
আপিল করেন।
আপিলের রায়ে বলা হয়, আসামিপক্ষে আনা আপিল আংশিক মঞ্জুর করা হয়েছে। এ মামলায় প্রসিকিউশন আনীত অভিযোগের মধ্যে ৪, ৬ ও ১২ নং অভিযোগ থেকে মীর কাশেম আলীকে খালাস এবং ২, ৩, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে ট্রাইব্যুনালে দেয়া দণ্ড বহাল রাখে আপিল বিভাগ। একটি অভিযোগে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল এবং অপর ছয় অভিযোগে মোট ৫৮ বছরের কারাদণ্ডের রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ।
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩ রা
ডিসেম্বর কাসিমপুর কেন্দ্রিয় কারাগারে ফাঁসিতে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।