|
পতঞ্জলির পৌরাণিক মূর্তি |
পতঞ্জলি
খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীর দার্শনিক এবং গ্রন্থাকার।
তিনি যোগসূত্রের সংকলক। এই সংকলনটি যোগসূত্র
(যোগশাস্ত্র)
নামে পরিচিত।
তাঁর অপর উল্লেখযোগ্য কাজ হল- পাণিনির রচিত অষ্ট্যাধ্যায়ী নামক সংস্কৃত ব্যাকরণের টীকা
প্রণয়ন। তাঁর টীকা-গ্রন্থের নাম মহাভায্য।
এ ছাড়া আয়ুর্বেদ-বিষয়ক একটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেছিলেন।
পতঞ্জলির জন্ম ও নামকরণ নিয়ে নানা রকম গল্প আছে। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি থেকে জানা যায়, এক সময় সমস্ত মুনি-ঋষিরা
ধন্বন্তরী আয়ুর্বেদের মাধ্যমে অসুখ নিরাময়ের উপায় জানার জন্য ভগবান বিষ্ণুর কাছে উপস্থিত হন। বিষ্ণু ঋষিদের
প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে, দেহ-মনের সুস্থতার জন্য সমুদয় বাণী ও সূত্র প্রদানের জন্য
পতঞ্জলিকে প্রেরণ করেছিলেন।
তাঁর নামের ব্যাখ্যা নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত আছে। গল্পটি হলো- একবার এক যোগিনী
পুত্রসন্তান লাভের জন্য চক্ষু বন্ধ করে দুই হাত পেতে সূর্যের তপস্যা শুরু করেন।
হঠাৎ যোগিনী অনুভব করলেন যে, তাঁর হাতে কিছু পতিত হয়েছে। চোখ খুলে তিনি হাতে একটি
সাপ দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এই সময় সাপটি আতঙ্ক দূর করে যোগিনীকে তাঁকে
সন্তান হিসেবে গ্রহণ করার অনুরোধ করেন । যোগিনী সম্মত হলে
সাপটি রূপান্তরিত হয়ে মানবরূপ ধারণ করেন। যোগিনীর
প্রসারিত হাতের অঞ্জলিতে পতিত হয়েছিল বলে তিনি পতঞ্জলি নামে অভিহিত হন।