রবীন্দ্রনাথের
কালানুক্রমিক জীবনবৃত্তান্ত
দ্বিতীয়
বর্ষ: ২৫ বৈশাখ ১২৬ ৯ (বুধবার ৭
মে ১৮৬ ২ খ্রিষ্টাব্দ) থেকে ২৪ বৈশাখ ১২৭০ (বুধবার ৬ মে ১৮৬৩)
জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারের
উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি।
- ২১ আষাঢ় ১২৬৯ (শুক্রবার, ৪ জুলাই ১৮৬২), রবীন্দ্রনাথের বড় ভাই
দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর -এর বড় ছেলে দ্বিপেন্দ্রনাথ ের
জন্ম হয়।
- ২০ শ্রাবণ ১২৬৯ [সোম বার ৪
আগষ্ট ১৮৬২] পিতার ষোড়শ সাংবৎসরিক শ্রাদ্ধবাসর উপলক্ষে ভোজ্য উৎসর্গ
করেন। এই উপলক্ষে যে ব্রাহ্ম সংসৎ-এর আয়োজন হয়েছিল । এই
অনুষ্ঠান নিয়ে ব্রাহ্মসমাজের মধ্যে বিভেদের সৃষ্টি হয়। কেশবচন্দ্র সেনও ব্রাহ্মধর্মের নূতন অনুষ্ঠান-পদ্ধতি অনুসারে পুত্রের জাতকর্ম সম্পাদন করেন। সোমপ্রকাশ পত্রিকায় এক পত্ৰলেখক এই সংবাদ দিয়ে অভিযোগ করেন, ‘তৎকালে পৌত্তলিকদের ন্যায় “আয়ু দাও শ্রী দাও” ইত্যাদি প্রার্থনা করা হইয়াছিল। এই কারণেই ব্রাহ্মসমাজের মধ্যে বিভেদের
সূত্রপাত হয়েছিল।
- ১৮ ফাল্গুন [রবি বার ১ মার্চ ১৮৬৩]
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রায়পুরের জমিদার প্রতাপনারায়ণ সিংহ-পরিবারের কাছ থেকে বোলপুরের নিকটবর্তী ভুবনডাঙা গ্রামের বাঁধ-সংলগ্ন বিশ বিঘা জমি বার্ষিক পাঁচ টাকা খাজনায় মৌরসী-স্বত্ব গ্রহণ করেন।
- এই বছরেই
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ সন্তান বুধেন্দ্রনাথের জন্ম হয়। এবং শৈশবেই তাঁর
মৃত্যু হয়। জন্ম-মৃত্যু তারিখ জান যায় নি।
তথ্যসূত্র:
- কবি মানসী। প্রথম খণ্ড। জগদীশ ভট্টাচার্য। ডিএম লাইব্রেরি,
কলকাতা। প্রথম প্রকাশ: ২৫ বৈশাখ ১৩৬৯।
-
জীবনের ঝরাপাতা। সরলাদেবী। সাহিত্য সংসদ, কলকাতা। ফাল্গুন
১৮৭৯।
১৩ এপ্রিল তারিখে
-
রবিজীবনী। প্রশান্তকুমার পাল। ভূর্জপত্র, কলকাতা