 রশিদ খান, ওস্তাদ
রশিদ খান, ওস্তাদ
১৯৬৮-২০২৪ 
খ্রিষ্টাব্দ
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের গোয়ালিয়র ঘরানার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে
সম্পর্কিত রামপুর-সহসওয়ান গায়নশৈলীর, কণ্ঠসঙ্গীত-শিল্পী ওস্তাদ ও সঙ্গীতশিক্ষক। 
খেয়াল ও তারানা পরিবেশনায় তিনি খ্যাতি লাভ করলেও নানা ধরনের গান তিনি পরিবেশন করে 
খ্যাতি লাভ করেছিলেন। তাঁর সঙ্গীত পরিবেশনার মূল স্থান ছিল মঞ্চ। এর বাইরে তিনি 
হিন্দি ও বাংলা ছায়াছবিতে গান পরিবেশন করেছেন।
১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই
ভারতের
 উত্তর প্রদেশের বুদাউনের সহসওয়ানে জন্মগ্রহণ করেন। সঙ্গীতে তাঁর হাতে খড়ি হয়েছিল-  তাঁর মামা 
ওস্তাদ গোলাম মুস্তফা খানের কাছে। খুব অল্প বয়সে গোলাম 
মুস্তফা খান, তাঁকে মুম্বাই নিয়ে যান এবং সেখানে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি 
করিয়ে দেন। মুম্বাইয়ের পরিবেশ ও শিক্ষা তাঁর ভালো না লাগায়, 
তাঁর মামা তাঁকে পুনরায় বুদাউনের নিয়ে 
আসেন। এই সময় গোলাম মুস্তফা খান তাঁকে শাস্ত্রীয় 
সঙ্গীতের তালিম দেন। কিছুদিনের ভিতর গোলাম মুস্তফা খান 
তাঁর সঙ্গীত প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাঁর জ্ঞাতি সম্পর্কীয় মামা এবং তাঁর সঙ্গীতগুরু ওস্তাদ নিসার খানের 
কাছে নিয়ে যান। এরপর থেকে 
রশিদ খান- দীর্ঘকাল তালিম নে। সম্পর্ক তিনি ছিলেন ওস্তাদ নিসার হোসেন খানের 
নাতি। 
মূলত ওস্তাদ নিসার খানের কঠোর তত্ত্বাবধানে ভারতীয় শাস্ত্রীয় 
সঙ্গীতে সুশিক্ষিত হয়ে ওঠেন। 
১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে, নিসার হোসেন খান কলকাতায় আইটিসি সঙ্গীত গবেষণা একাডেমিতে (এসআরএ) 
যোগদান করেন। এই সময় রশিদ খানও তাঁর সাথে কলকাতায় চলে আসেন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানে 
ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে স্কলার হিসেবে নিসার হোসেন খানের কাছে 
প্রাতিষ্ঠানিক তালিম নেওয়া শুরু করেন। এই সময় তাঁর পরীক্ষকদের মধ্যে ছিলেন রাইচাঁদ বড়াল, এ.টি কানন, মালবিকা কানন, বিজয় কিচলু, ভিজি যোগ এবং দীপালি নাগ 
প্রমুখ।
১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে স্বীকৃতি লাভ 
করেন। 
 ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ৯ জানুয়ারি
 কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
 
	
		|  | 
	
		| সোমা 
	খান | 
 
পরিবার
	- স্ত্রী: সোমা 
	খান। মূল নাম সোনা বসু।
- পুত্র: 
	আরমান খান
- কন্যা: ২টি
 
 পুরস্কার
- পদ্মশ্রী (২০০৬)
- সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার (২০০৬)
	
- গ্লোবাল ইন্ডিয়ান মিউজিক অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস (জিআইএমএ) (২০১০)
	
- মহাসঙ্গীত সম্মান পুরস্কার (২০১২)
	
- মির্চি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস 
	(২০১৩) 
- পদ্মভূষণ (২০২২)