শাহ মুহম্মদ সগীর
আনুমানিক ১৪-১৫ শতক।

মধ্যযুগীয় কবি। তাঁর জন্মতারিখ সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। গৌড়ের সুলতান সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ-এর রাজত্বকালে (১৩৯৩-১৪০৯ খ্রিষ্টাব্দ) ইউসুফ-জোলেখা কাব্য রচনা করেন। এই বিচারে ধারণা করা হয় তিনি খ্রিষ্টীয় ১৪ শতকের মাঝামাঝি সময়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

শাহ মুহম্মদ সগীর ছিলেন গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ-এর রাজকর্মচারী। তিনি কাব্যচর্চায় সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন।

ধর্মীয় পটভূমিতে ইউসুফ জুলেখার কাহিনি মুসলমানদের মধ্যে প্রচলিত ছিল। কোরান শরিফে 'ইউসুফ' নামে একটি সুরা রয়েছে। সেখানে নবী ইউসুফের সাথে জুলেখার প্রণয় ও বিবাহ নিয়ে উপদেশমূলক গল্প আছে। পরবর্তী সময় পারশ্যের ফেরদৌসী-সহ অনেক কবি এই কাহিনি অবলম্বনে প্রণয়োপখ্যানমূল কাব্যরচনা করেছিলেন। এসব কাহিনি থেকে উজ্জীবিত হয়ে, শাহ মুহম্মদ সগীর ইউসুফ জোলেখা কাব্য রচনা করেছিলেন। অনেকে মনে করেন যে, ফারসি কবি আবদুর রহমান জামী'র রচিত ‘ইউসুফ জোলায়খা’ কাব্য অনুসরণে মুহম্মদ সগীর তাঁর কাব্যটি রচনা করেছিলেন। কিন্তু কালানুক্রমের বিচারে এই অনুমান সত্য বলে মানা যায় না। কারণ, ফারসি কবি আবদুর রহমান জামী তাঁর ‘ইউসুফ জোলায়খা’ কাব্য রচনা করেছিলেন ১৪৮৩ খ্রিষ্টাব্দে। আর  মুহম্মদ সগীর তাঁর ইউসুফ জোলেখা কাব্য রচনা করেছিলেন গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ-এর রাজত্বকালে (১৩৯৩-১৪০৯ খ্রিষ্টাব্দ)

সূত্র: