১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে যোগানন্দ দাসের সম্পাদনায় সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসাবে ‘শনিবারের চিঠি’র আত্মপ্রকাশ করে। শনিবারের চিঠি প্রকাশের উদ্দেশ্য ছিল দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের স্বরাজ্য দলের সমালোচনা করা। ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে নজরুল ইসলাম বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন 'বিদ্রোহী' কবিতার মাধ্যমে। এই সময় মোহিতলাল মজুমদার দাবি করেন যে, নজরুল তাঁর 'আমি' নামক প্রবন্ধ নকল করে 'বিদ্রোহী' রচনা করেছেন। এ নিয়ে মোহিতলাল ও নজরুলের ভিতরে তিক্ততার সৃষ্টি হয়। এই সময় মোহিতলাল রীতিমতো দলবল নিয়ে নজরুলের অন্যতম বাক্যিক-আক্রমণকারীতে পরিণত হন। এর সাথে যুক্ত হয়েছিল নজরুলের বিবাহ। ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ এপ্রিল (শুক্রবার ১২ বৈশাখ ১৩৩১ বঙ্গাব্দ)] নজরুলের সাথে কুমিল্লার বসন্তকুমার সেনগুপ্ত ও গিরিবালার একমাত্র কন্যা আশালতার (দুলি/দোলন) বিবাহ হয়। এর ফলে অধিকাংশ হিন্দু সাহিত্যক নজরুলের বিরুদ্ধে চলে যায়। এই সময় নজরুলের রচনা প্রবাসী পত্রিকা প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকে। এরপর মোহিতলাল এবং নজরুলের বিবাহে অসন্তুষ্ট সাহিত্যিকরা জোট বেঁধে 'শনিবারে চিঠি' ব্যবহার করা শুরু করে।'... দুই বৎসর পরে কলেজের পাঠক্রম যখন সম্পূর্ণ এবং শেষ-পরীক্ষার দাবি যখনন প্রবল, ঠিক তখনই 'শনিবারের চিঠি'র আবর্তে পড়িয়া বিজ্ঞান-জগৎ হইতে একেবারে অন্তর্হিত হইলাম, এবং একদা গুভ প্রভাতে অনুভব হইল নৌকাডুবির পর সাহিত্যের বালুচরে পড়িয়া আছি। “কমলা”ও পাশেই মুর্ছিতা ছিলেন কিনা উপলব্ধি হয় নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায় স্বাভাবিক সমাপ্তিরেথা আর টানা হইল না।'