সবার উপরে (১৯৫৩)। উত্তম-সুচিত্রা

উত্তম কুমার
প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা। মহানায়ক নামে খ্যাত। প্রকৃত নাম অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়।

১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা ডিসেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায় এবং মায়ের নাম চপলা দেবী।

শিক্ষাজীবনের শুরুতে তিনি চক্রবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে কলকাতার সাউথ সাবার্বা‌ন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন এবং পরে গোয়েঙ্কা কলেজে ভর্তি হন।

১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে পোর্ট কমিশনার্সে ক্যাশিয়ার হিসেবে চাকরি শুরু করেন।

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে হিন্দি মায়াডোর নামে একটি ছবিতে অভিনয় করেন। শেষ পর্যন্ত ছবিটি মুক্তিলাভ করে নি।

১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জুন তিনি গৌরীদেবীকে বিবাহ করেন। এই বৎসরে তিনি খণ্ডকালীন পিএম প্রোডাকশনে ৪০০ রুপি মাসিক বেতনে অভিনেতার চাকরি করেন।

উত্তম-সুপ্রিয়া

১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই সেপ্টেম্বর তাঁর পুত্র গৌতমের জন্ম হয়।
১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর অভিনীত 'বসু পরিবার' মুক্তি পায়। এই বৎসরের ডিসেম্বর মাসে তিনি পোর্ট কমিশনার্স-এর চাকরি ত্যাগ করেন।

১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি স্টার থিয়েটারে 'শ্যামলী' নাটকে অভিনয় করেন। এই বৎসরেই মুক্তি পায় 'সাড়ে চুয়াত্তুর' নামক ছবি। এই ছবিতে তিনি প্রথম
সুচিত্রা সেন-এর বিপরীতে অভিনয় করেন। এই ছবির মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সফল উত্তম-সুচিত্রা জুটির সূত্রপাত হয়।

১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি প্রথম প্লেব্যাক করেন 'নবজন্ম' ছবিতে।
১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তি পায় তাঁর প্রযোজিত ছবি 'হারানো সুর'।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সূত্রে উত্তম কুমারের সাথে সুপ্রিয়াদেবীর ঘনিষ্টতা শুরু হয়। সুপ্রিয়া দেবী ও সুচিত্রা সেনের সাথে গভীর সম্পর্কের কারণে তাঁর তাঁর দাম্পত্য জীবনে সঙ্কটের সৃষ্টি হয়। এক সময় উত্তম কুমারের সাথে গৌরীদেবীর বিচ্ছেদ ঘটে। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিয়াদেবীকে বিবাহ করেন। এরপর আমৃত্যু তিনি সুপ্রিয়াদেবীর সাথে কাটান। এই বিয়ের আগে উত্তম

১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তি পায় তাঁর পরিচালিত ছবি 'শুধু একটি বছর'। এই বৎসরে মুক্তি প্রাপ্ত 'কাল তুমি আলেয়া' ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেন।
১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর শেষ ছবি 'ও্গো বধূ সুন্দরী' মুক্তি পায়। এই বৎসরের ২৪ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

উত্তম-সুচিত্রা জুটি
বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে উত্তম-সুচিত্রা জুটিকে এখনো শ্রেষ্ঠ জুটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একসময় কলকাতার চলচ্চিত্র পাড়ায় উত্তম-সুচিত্রা জুটি ছাড়া সে সময় কোনো ছবি 'হিট' হবে, এটা ভাবা নির্মাতারা ভাবতে পারতেন না। এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষ ভাবতে শুরু করে, চলচ্চিত্রের মতো বাস্তবেও হয়তো তারা একই সম্পর্ক ধারণ করেন।

সপ্তপদী (১৯৬১)। উত্তম-সুচিত্রা

১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে একটি পোস্টার ঝড় তোলে উত্তম-সুচিত্রার সংসার জীবনে। সুচিত্রার সই দেয়া ওই পোস্টারে লেখা ছিল 'আমাদের প্রণয়ের সাক্ষী হলো অগ্নিপরীক্ষা'। ভারতীয় পত্রিকাগুলোর খবর, সেই পোস্টার দেখে উত্তমকুমারের স্ত্রী গৌরিদেবী ভেঙে পড়েন। অন্যদিকে সুচিত্রাকেও সন্দেহ করতে শুরু করেন স্বামী দিবানাথ এবং অভিনয় ছেড়ে দিতেও চাপ দেন। কিন্তু অন্তত ১০টি ছবিতে এই জুটি চুক্তিবদ্ধ ছিলেন বলে, অভিনয় ছাড়া সম্ভব হয় নি। ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে উত্তম কুমার তাঁর প্রযোজিত 'হারানো সুর' ছবিতে নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব দিলে সুচিত্রা সেন বলেছিলেন, 'তোমার জন্য সব ছবির ডেট ক্যান্সেল করব'। একদিন সুচিত্রা সেনের বালিগঞ্জের বাসায় এক পার্টিতে দিবানাথের আক্রমণের মুখেও পড়তে হয় উত্তমকে। এরপর থেকেই দিবানাথের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে সুচিত্রার। এক সময় শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুরে। তাঁর অভিনীত সর্বশেষ ছবি ‘প্রণয় পাশা’ মুক্তি পায় ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে। এরপর  আকস্মিকভাবেই চলে যান লোকচক্ষুর অন্তরালে। এরপর প্রথম সুচিত্রা সেন আড়াল ছেড়ে বাইরে আসেন উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর। মাঝরাত পর্যন্ত বসে ছিলেন তাঁর মরদেহের পাশে। ৩১টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেনের বিপরীতে।

উত্তম কুমারে অভিনীত বাংলা ছবির তালিকা

দৃষ্টিদান (১৯৪৮)
কামনা (১৯৪৯)
মর্যাদা (১৯৫০)
সহযাত্রী (১৯৫১)
ওরে যাত্রী (১৯৫১)
নষ্টনীড় (১৯৫১)
সঞ্জীবনী (১৯৫২)
বসু পরিবার (১৯৫২)
কার পাপে (১৯৫২)
সাড়ে চুয়াত্তর (১৯৫৩)
নবীন যাত্রা (১৯৫৩)
লাখ টাকা (১৯৫৩)
বৌ ঠাকুরানীর হাট (১৯৫৩)
সদানন্দের মেলা (১৯৫৪)
ওরা থাকে ওধারে (১৯৫৪)
মনের ময়ূর (১৯৫৪)
মরণের পারে (১৯৫৪)
মন্ত্র শক্তি (১৯৫৪)
কল্যাণী (১৯৫৪)
গৃহপ্রবেশ (১৯৫৪)
চাঁপাডাঙার বউ(১৯৫৪)
ব্রতচারিনী (১৯৫৪)
বকুল (১৯৫৪)
বিধিলিপি (১৯৫৪)
অনুপমা (১৯৫৪)
অন্নপূর্ণার মন্দির (১৯৫৪)
অগ্নিপরীক্ষা (১৯৫৪)
সাঁঝের প্রদীপ (১৯৫৫)
উপহার (১৯৫৫)
শাপ মোচন (১৯৫৫)
হ্রদ (১৯৫৫)
সবার উপরে (১৯৫৫)
কঙ্কাবতীর ঘাট (১৯৫৫)
রাইকমল (১৯৫৫)
দেবত্র (১৯৫৫)
ত্রিযামা(১৯৫৬)
শ্যামলী (১৯৫৬)
শিল্পী (১৯৫৬)
শঙ্কর নারায়ন ব্যাঙ্ক (১৯৫৬)
সাহেব বিবি গোলাম (১৯৫৬)
সাগরিকা (১৯৫৬)
রাতভোরে(১৯৫৬)
পুত্রবধূ (১৯৫৬)
নবজন্ম (১৯৫৬)
লক্ষ হীরা (১৯৫৬)
একটি রাত (১৯৫৬)
চিরকুমার সভা (১৯৫৬)
জীবন তৃষ্ণা (১৯৫৭)
অভয়ের বিয়ে (১৯৫৭)
তাসের ঘর (১৯৫৭)
যাত্রা হল শুরু (১৯৫৭)
হারজিৎ (১৯৫৭)
সুরের পরশে (১৯৫৭)
পুনর্মিলন (১৯৫৭)
পৃথিবী আমারে চায় (১৯৫৭)
পথে হল দেরি (১৯৫৭)
হারানো সুর (১৯৫৭)
চন্দ্রনাথ (১৯৫৭)
বড়দিদি (১৯৫৭)
শিকার (১৯৫৮)
বন্ধু (১৯৫৮)
সূর্যতোরণ (১৯৫৮)
মানময়ী গার্লস স্কুল (১৯৫৮)
ইন্দ্রাণী (১৯৫৮)
ডাক্তার বাবু (১৯৫৮)
রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত (১৯৫৮)
যৌতুক (১৯৫৮)
অবাক পৃথিবী (১৯৫৯)
সোনার হরিন (১৯৫৯)
পুষ্পধনু (১৯৫৯)
বিচারক (১৯৫৯)
চাওয়া পাওয়া (১৯৫৯)
মরুতীর্থ হিংলাজ (১৯৫৯)
খেলাঘর (১৯৫৯)
গলি থেকে রাজপথ (১৯৫৯)
 
শহরের ইতিকথা (১৯৬০)
শখের চোর (১৯৬০)
খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন (১৯৬০)
উত্তর মেঘ (১৯৬০)
শুন বরনারী (১৯৬০)
রাজা সাজা (১৯৬০)
মায়া মৃগ (১৯৬০)
কুহক (১৯৬০)
হাত বাড়ালে বন্ধু (১৯৬০)
নেকলেস (১৯৬১)
ঝিন্দের বন্দী (১৯৬১)
অগ্নিসংস্কার (১৯৬১)
সাথী হারা (১৯৬১)
সপ্তপদী (১৯৬১)
দুই ভাই (১৯৬১)
শিউলিবাড়ি (১৯৬২)
বিপাশা (১৯৬২)
কান্না (১৯৬২)
দেয়া নেয়া (১৯৬৩)
ভ্রান্তিবিলাস (১৯৬৩)
নিশীথে (১৯৬৩)
উত্তরায়ণ (১৯৬৩)
সূর্যশিখা (১৯৬৩)
শেষ অঙ্ক (১৯৬৩)
লাল পাথর (১৯৬৪)
নতুন তীর্থ (১৯৬৪)
বিভাস (১৯৬৪)
মোমের আলো (১৯৬৪)
জতুগৃহ (১৯৬৪)
রাজকন্যা (১৯৬৫)
থানা থেকে আসছি (১৯৬৫)
সূর্যতপা (১৯৬৫)
নেকলেস (১৯৬১)
ঝিন্দের বন্দী (১৯৬১)
অগ্নিসংস্কার (১৯৬১)
সাথী হারা (১৯৬১)
সপ্তপদী (১৯৬১)
দুই ভাই (১৯৬১)
শিউলিবাড়ি (১৯৬২)
বিপাশা (১৯৬২)
কান্না (১৯৬২)
দেয়া নেয়া (১৯৬৩)
ভ্রান্তিবিলাস (১৯৬৩)
নিশীথে (১৯৬৩)
উত্তরায়ণ (১৯৬৩)
সূর্যশিখা (১৯৬৩)
শেষ অঙ্ক (১৯৬৩)
লাল পাথর (১৯৬৪)
নতুন তীর্থ (১৯৬৪)
বিভাস (১৯৬৪)
মোমের আলো (১৯৬৪)
জতুগৃহ (১৯৬৪)
রাজকন্যা (১৯৬৫)
থানা থেকে আসছি (১৯৬৫)
সূর্যতপা (১৯৬৫)
রাজদ্রোহী (১৯৬৬)
শঙ্খবেলা (১৯৬৬)
শুধু একটি বছর (১৯৬৬)
নায়ক (১৯৬৬)
কাল তুমি আলেয়া (১৯৬৬)
জীবন মৃত্যু (১৯৬৭)
নায়িকা সংবাদ (১৯৬৭)
চিড়িয়াখানা (১৯৬৭)
ছোটিসি মুলাকাত (১৯৬৭)
অ্যান্টনি ফিরিঙ্গী (১৯৬৭)
গৃহদাহ (১৯৬৭)
গড় নাসিমপুর (১৯৬৮)
তিন অধ্যায় (১৯৬৮)
কখনো মেঘ (১৯৬৮)
চৌরঙ্গী (১৯৬৮)
শুকসারী (১৯৬৯)
মন নিয়ে (১৯৬৯)
সবরমতী (১৯৬৯)
চিরদিনের (১৯৬৯)
অপরিচিত (১৯৬৯)
কমললতা (১৯৬৯)
রাজকুমারী (১৯৭০)
দুটি মন (১৯৭০)
বিলম্বিত লয় (১৯৭০)
মঞ্জরী অপেরা (১৯৭০)
কলঙ্কিত নায়ক (১৯৭০)
নিশিপদ্ম(১৯৭০)
নবরাগ (১৯৭১)
জীবন জিজ্ঞাসা (১৯৭১)
এখানে পিঞ্জর (১৯৭১)
জয় জয়ন্তী (১৯৭১)
ধন্যি মেয়ে(১৯৭১)
ছদ্মবেশী (১৯৭১)
আলো আমার আলো (১৯৭১)
ছিন্ন পত্র (১৯৭২)
স্ত্রী(১৯৭২)
বিরাজ বৌ (১৯৭২)
অন্ধ অতীত (১৯৭২)
মেম সাহেব (১৯৭২)
হার মানা হার(১৯৭২)
রাতের রজনীগন্ধা (১৯৭৩)
রৌদ্র ছায়া (১৯৭৩)
সোনার খাঁচা (১৯৭৩)
কায়াহীনের কাহিনী (১৯৭৩)
বনপলাশীর পদাবলী (১৯৭৩)
রোদন ভরা বসন্ত (১৯৭৪)
আলোর ঠিকানা (১৯৭৪)
রক্ত তিলক (১৯৭৪)
বিকেলে ভোরের ফুল (১৯৭৪)
যদু বংশ (১৯৭৪)
যদি জানতেম (১৯৭৪)
প্রিয় বান্ধবী (১৯৭৫)
নগর দর্পনে (১৯৭৫)
আমি সে ও সখা (১৯৭৫)
কাজললতা (১৯৭৫)
মৌচাক (১৯৭৫)
অগ্নীশ্বর (১৯৭৫)
বাঘবন্দী খেলা (১৯৭৫)
সন্ন্যাসী রাজা (১৯৭৫)
অমানুষ (১৯৭৫)
মোমবাতি (১৯৭৬)
চাঁদের কাছাকাছি (১৯৭৬)
আনন্দমেলা (১৯৭৬)
হোটেল স্নোফক্স (১৯৭৬)
নিধিরাম সর্দার (১৯৭৬)
বহ্নিশিখা (১৯৭৬)
সেই চোখ (১৯৭৬)
সিস্টার(১৯৭৭)
ভোলা ময়রা(১৯৭৭)
রাজবংশ(১৯৭৭)
সব্যসাচী (১৯৭৭)
আনন্দ আশ্রম (১৯৭৭)
কিতাব (১৯৭৭)
ধনরাজ তামাং (১৯৭৮)
নিশান (১৯৭৮)
বন্দী (১৯৭৮)
দুই পুরুষ (১৯৭৮)
নব দিগন্ত (১৯৭৯)
সুনয়নী (১৯৭৯)
ব্রজবুলি (১৯৭৯)
সমাধান (১৯৭৯)
শ্রীকান্তের উইল (১৯৭৯)
দুরিয়াঁ (১৯৭৯)
দেবদাস (‌১৯৭৯)
প্রতিশোধ (১৯৮০)
খনা বরাহ (১৯৮০)
আরো একজন (১৯৮০)
দর্পচূর্ণ (১৯৮০)
পক্ষীরাজ (১৯৮০)
রাজা সাহেব (১৯৮০)
দুই পৃথিবী (১৯৮০)
সূর্যসাক্ষী(১৯৮১)
ইমন কল্যাণ (১৯৮১)
ওগো বধূ সুন্দরী (১৯৮১)
কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী (১৯৮১)
প্লট নাম্বার ৫ (১৯৮১)
 

উত্তম কুমার অভিনীত হিন্দি চলচ্চিত্র

ছোটিসি মুলাকাৎ (১৯৬৭)
দেশপ্রেমী (১৯৮২)
মেরা করম মেরা ধরম (১৯৮৭)

উত্তম কুমার পরিচালিত চলচ্চিত্র

কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী (১৯৮১)
বনপলাশীর পদাবলী (১৯৭৩)
শুধু একটি বছর (১৯৬৬)

উত্তম কুমার প্রযোজিত চলচ্চিত্র

গৃহদাহ (১৯৬৭)
ছোটিসি মুলাকাত (১৯৬৭)
হারানো সুর (১৯৫৭)

উত্তম কুমার সুরারোপিত চলচ্চিত্র

কাল তুমি আলেয়া (১৯৬৬)