যতীন্দ্রমোহন বাগচী
১৮৭৮-১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দ
বাঙালি কবি ও সাংবাদিক।
১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ নভেম্বর পশ্চিবঙ্গের নদীয়া জেলার জমশেরপুরের জমিদার পরিবারে
জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম হরিমোহন বাগচী এবং মায়ের নাম গিরিশমোহনী দেবী। তবে তাঁর
পৈত্রিক নিবাস ছিল হুগলীর বলাগড় গ্রামে।
তাঁর শৈশবকাল সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। বহরমপুরে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শেষ
করেন। এরপর তিনি খাগড়া লণ্ডন মিশন স্কুলে কিছুদিন লেখাপড়া করেন। এরপর ১৮৯০
খ্রিষ্টাব্দে তিনি কলকাতার হেয়ার স্কুলে ভর্তি হন। ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কলকাতার
ডাফ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন সময়ে বিচারপতি সারদাচরণ মিত্রের
সচিব, নাটোরের মহারাজার সচিব, কলকাতা কর্পোরেশনের লাইসেন্স-ইন্সপেক্টর, এফ.এন গুপ্ত
কোম্পানির ম্যানেজার প্রভৃতি পদে চাকরি করেন।
অল্প বয়স থেকে তিনি কাব্যচর্চা শুরু করেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাঁর কবিতা
প্রকাশের কারণে কবি খ্যাতি লাভ করেন। কাব্যচর্চার পাশাপাশি তিনি একাধিক পত্রিকার
সম্পাদনা করেন।
১৯০৩-১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি
মানসী পত্রিকার সম্পাদনা করেছিলেন।
১৯২১-১৯২২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি যমুনা পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন।
১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি নিজেই পূর্বাচল নামক একটি পত্রিকা প্রকাশ করা শুরু করেন।
মৃত্যকাল পর্যন্ত তিনি এই পত্রিকার সম্পাদনা করেন।
১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃ্ত্যুবরণ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো :
- লেখা (১৯০৬),
- রেখা (১৯১০),
- অপরাজিতা (১৯১৫),
- নাগকেশর (১৯১৭),
- জাগরণী (১৯২২),
- নীহারিকা (১৯২৭),
- মহাভারতী (১৯৩৬)।