অগ্নি-বীণা
কাজীনজরুল ইসলাম
শাতিল্ আরব! শাতিল্ আরব!! পূত যুগে যুগে তোমার তীর। দজ্লা-ফোরাত-বাহিনী শাতিল! পূত যুগে যুগে তোমার তীর। বহায়ে তোমার লোহিত বন্যা ইরাক আজমে করেছ ধন্যা;– বীর-প্রসূ দেশ হলো বরেণ্যা মরিয়া মরণ মর্দমির! মর্দ বীর সাহারায় এরা ধুঁকে মরে তবু পরে না শিকল পদ্ধতির।
শাতিল্-আরব! শাতিল্-আরব্! পূত যুগে যুগে তোমার তীর! ' জুলফিকার' আর 'হায়দরি' হাঁক হেথা আজো হজরত্ আলীর-শাতিল্-আরব!-শাতিল্-আরব!! জিন্দা রেখেছে তোমার তীর। ললাটে তোমার ভাস্বর টীকা বস্রা-গুলের বহ্নিতে লিখা– এ যে বসোরার খুন-খারাবি গো রক্ত-গোলাব-মঞ্জরীর! খঞ্জরীর খঞ্জরে ঝরে খর্জুর সম হেথা লাখো দেশ-ভক্ত-শির! শাতিল্-আরব! শাতিল্-আরব!! পূত যুগে তোমার তীর। ইরাক-বাহিনী! এ যে গো কাহিনী,– কে জানিত কবে বঙ্গ-বাহিনী তোমারও দুঃখে 'জননী আমার!' বলিয়া ফেলিবে তপ্ত নীর! রক্ত-ক্ষীর– পরাধীনা! একই ব্যথায় ব্যথিত ঢালিল দু-ফোঁটা ভক্ত-বীর। শহীদের দেশ! বিদায়! বিদায়!! এ অভাগা আজ নোয়ায় শির! |
রচনা ও প্রকাশকাল:
মোসলেম ভারত
' পত্রিকার জ্যৈষ্ঠ ১৩২৭ (জুন-জুলাই ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দ) সংখ্যায়
প্রকাশিত হয়েছিল।