মীরা-উৎসব
অন্যান্য নাম: মীরা-গীত-উৎসব
কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত গীতি-আলেখ্য।

১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪০) এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে যোগেশ চৌধুরী রচিত নাটক 'মীরাবাই' প্রকাশিত হয়। এই নাটকে মীরা চরিত্রের জন্য জন্য নাট্যকার নজরুলের একটি গান ব্যবহার করেন। গানটি হলো- হরি, নাচত নন্দ দুলাল। গানটির শিল্পী ছিলেন কমল ঝরিয়া।
দ্রষ্টব্য: নাচত নন্দ দুলাল [তথ্য]
১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ৬ আগষ্ট (শুক্রবার ১২ শ্রাবণ ১৩৪৩) কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়- 'মীরা উৎসব' নামক গীতি-আলেখ্য। এই গীতি-আলেখ্যে এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল। শিল্পী ছিলেন- কুমারী রেবা সোম।  

বেতার জগৎ পত্রিকার ৭ম বর্ষ ১৫শ সংখ্যায় [পৃষ্ঠ: ৬৬৮] মীরা উৎসব নাটকের যে পরিচয় দেওয়া হয়েছিল, তা হলো-
পরিচালক: শ্রীনিতাই ঘটক
পরিচয়লিপি: শ্রীজগৎ ঘটক
পরিচয়লিপি পাঠ: শ্রীমতী মায়া দে চৌধূরী
সহকারী: বেহালা ও গীটার। শ্রীপরিতোষ শীল এন্ড পার্টি
চেলো: শ্রীকার্তিক চট্টোপাধ্যায়
সারেঙ্গী ও সেতার: শ্রীবাচ্চন্ মিশ্র।
সঙ্গীত পরিচয় অংশ থেকে জানা যায় একটি গানের রচয়িতা নজরুল ইসলাম ছিলেন। বেতার জগতে এই লেখা ছিল-
"নাচত নন্দ দুলাল (হোরি)"
কথা ও সুর- কাজী নজরুল ইসলাম
গায়িকা- কুমারী রেবা সোম
বেতার জগৎ পত্রিকার ৭ম বর্ষ ১৫শ সংখ্যার [পৃষ্ঠ: ৬৮০] অনুষ্ঠান-সূচী থেকে জানা যায়, বাসন্তী বিদ্যাবীথির উদ্যোগে পরিবেশিত এই গীতি-আলেখ্যের নাম দেওয়া হয়েছিল- মীরা-গীত-উৎসব।